বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সমাজে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, মাদকের প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞানের মাধ্যমে অশ্লীলতার যে ছোবল, এসব কিছু থেকে যুব সমাজকে পৃথক করার জন্য, যুবশক্তিকে শক্তিতে পরিণত করার জন্য, মাঠমুখী করার জন্য খেলাধূলাসহ বহুমুখী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। যুবকরা হচ্ছে শক্তির আধার, তাদের রক্ত টগবগে এবং তারা ভাঙতে পারে, গড়তে পারে। যুবকরাই ৫ আগস্টে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নিজেদের জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছরের জঞ্জাল থেকে এ জাতি মুক্তি পেয়েছে। যদি তারা ভাঙার কাজে নিয়োজিত হয় তারা সব ভেঙে চুরমার করে দিবে। তারা যদি গড়ার কাজে নিয়োজিত হয়, তাহলে একের পর এক অট্টালিকা গড়ে তুলবে। এ যুবশক্তি হচ্ছে এদেশের সবচাইতে কর্মক্ষম শক্তি, যুবশক্তি হচ্ছে প্রাণশক্তি। যুবকরাই যদি সমৃদ্ধ হয়, তাহলে তারা আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করবে। খেলাধূূলা একদিকে যেমন বিনোদনের কাজ করে, তেমনি মাদকাসক্তি থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারে এবং পড়ালেখার দিকে মনোনিবেশ করতে পারে। অন্যদিকে শারীরিক, মানসিক ও মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গত বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সদর উপজেলা ঝিলিম ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত জমিন স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পুরস্কার বিতরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, খেলাধূলা ও মাঠমুখী করতে অভিভাবকরা যত সন্তানদের সম্পৃক্ত করতে পারবে, সার্বিক জ্ঞানমুখী প্রতিযোগিতার সাথে এ প্রজন্মকে যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারা যাবে, আগামী দিনে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। আল্লাহ দেশ ও জাতি গঠনে যুবকদের কবুল করেন। বাংলাদেশ স্থায়ীত্বের জন্য দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত ও বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার এবং ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আবারো ভূমিকা পালন করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অপরদিকে, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের মসজিদপাড়ায় রাতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছরের শাসন দেখেছে, শুধু নেতার পরিবর্তন, দলের পরিবর্তন, চেয়ারের পরিবর্তন কিন্তু এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এদেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর আমরা পরিবার, পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি। নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করা হয়েছে। তারা ঈদ নামে আনন্দ করতে পারেনি। যারা আমাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে সময়ের বিবর্তনে তারাই আজকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। সৎ, আদর্শ নেতা নির্বাচিত করতে না পারলে বিগত ৫০ বছরের গ্লানি কি ভোগ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি মো. লতিফুর রহমান, পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী। আরো বক্তব্য রাখেন বোরহান আলী, কাজেম আলী প্রমুখ।