বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত দুই উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বাবু ও মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল ফারাবী।
জানা গেছে, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনটিও ২০০৮ সাল থেকে সৃষ্টি হয়। আগে মোহনপুর ও বাগমারাকে নিয়ে ছিল রাজশাহী-৩ আসন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কেবল বাগমারা উপজেলা নিয়েই একটি বাগমারা-৪ আসন করা হয়েছে। এ আসনে রয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা। এই আসনে এক সময়ে প্রায়ত মন্ত্রী সরদার আমজাদকে টপকিয়ে ৮০ দশকে এমপি হয়েছিলেন প্রয়াত নেতা আফজাল হোসেন। আবার ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনটিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সরদার আমজাদ হোসেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে রাজশাহী-৩ (বাগমারা-মোহনপুর) আসন থেকে অধ্যাপক আব্দুল গফুর সংসদ সদস্য নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একবার নির্বাচিত হলেও পরের বার ২০০৮ সালে দলীয় অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলেও সম্মানজনক ভোটে পরাজিত হন। পরে সাবেক আ’লীগ নেতা আ’লীগের সমর্থন ও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে ১৯৯৬ বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচিত হন সাবেক আমলা আবু হেনা। এ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আবু হেনা এমপি ছিলেন। ২০০৪ সালে বাগমারায় জঙ্গি উৎথানে বাগমারার বিএনপিকে জড়িয়ে অপব্যাখ্যায় তিনি বহিষ্কার হন। তবে পরবর্তীতে তিনি আবারো দলে ভিড়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাতানো ভোটে এনামুল হকের নিকট পরাজিত হন। এনামুল হক তিনবার এমপি ছিলেন। ২০২৪-এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরিবর্তন করে আবুল কালাম আজাদকে মনোনয়ন দেয়। তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এনামুল ও আবুল কালাম বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।