দেশে কেমন একটা অস্থিরতা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার এক স্মরণসভায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এরকম মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকের এই সময়টা.. এই সময়টা আমাদের পরীক্ষার সময়। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে। কতগুলো নির্ধারিত বিষয়কে অনির্ধারিত করে ফেলেছি, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সংস্কার, নির্বাচন এই কথাগুলো অনেক বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমরা মনে করি, সকলের উচিত হবে সকল রাজনৈতিক দল-গোষ্ঠী সকলের দায়িত্ব হবে, অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে আমাদের প্রস্তাবগুলো দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে একটা আলোচনার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে এবং আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব আমরা পাবো একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে কিন্তু সজাগ থাকতে হবে। আমাদের সংগ্রাম কিন্তু শেষ হয়নি। আমাদের কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক উত্তরণ এখনো হয়নি। আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা নির্বাচিত সরকার ও পার্লামেন্ট এখনো পাইনি। সেজন্য আমাদেরকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে, সচেতনতার সঙ্গে আমাদেরকে কিন্তু কাজ করতে হবে, দলকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির বাসায় আবদুল্লাহ আল নোমান মারা যান। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার অনুসরণীয় পথে শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের চলার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি জানতে পারলাম আমাদের একজন ছাত্রদল কর্মী প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. জাহেদুল ইসলাম পারভেজ তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারা হত্যা করেছে আমরা জানি না। তবে একথা নিসন্দেহে বলা যায়, যারা এই সময়ে একজন ত্যাগী ছাত্র নেতাকে হত্যা করতে পারে তারা নিসন্দেহে বাংলাদেশের এই পরিবর্তনে আন্দোলনের সঙ্গে কোনো মতেই সংযুক্ত ছিলো না।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা আজকে বাংলাদেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় তারা কখনই বাংলাদেশের পক্ষের মানুষ নন। তারা গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ নন। তারা শ্রমজীবী মানুষের পক্ষের মানুষ নন।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু’র সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন।