বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ভোট হলো মানুষের হাতে অর্পিত এক নৈতিক দায়িত্ব। এটি সততা, ন্যায় ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। তিনি বলেন, ভোট এমন এক পবিত্র আমানত, যা সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়নির্ভর শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। ভোট কোনো ব্যক্তিগত লাভের বিষয় নয়, বরং এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব, যা সমাজ ও রাষ্ট্রে সুবিচার প্রতিষ্ঠার পথে বড় ভূমিকা রাখে।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভায় এক সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। কাকঁনহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পৌর সেক্রেটারি আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ড. মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ্ ও মো. জালাল উদ্দিন, সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ভোট বিক্রি করা বা চুরি করা যেমন অনৈতিক, তেমনি ইসলামী দৃষ্টিতে এটি হাক্কুল ইবাদ লঙ্ঘনের শামিল। একজন মুসলমান কখনোই এই পবিত্র আমানতের খেয়ানত করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র হলো এমন একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান, যা মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, ক্ষমতায় এলে নেতারা নামাজ কায়েম করবে, যাকাত দেবে, সৎ কাজে উৎসাহ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক বলেন, জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। তবে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই চেতনা সমুন্নত ও নিশ্চিত করতে অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। বারবার স্বৈরাচারী সরকার তাকে আটক করে দীর্ঘ সময় কারাগারে রেখেছে। কিন্তু তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। আগামী দিনে সকলকে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে এমপি নির্বাচিত করে গোদাগাড়ী-তানোরকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার বিশ্বস্ত অংশীদার হতে আহ্বান জানান তিনি।