রাজনীতি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য কেবল জনগণই নির্ধারণ করবে--- মির্জা ফখরুল
কূটনৈতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন। অন্যবার কূটনৈতিকদের ইফতারে বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা আমন্ত্রণ
Printed Edition
ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন। অন্যবার কূটনৈতিকদের ইফতারে বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা আমন্ত্রণ পেলেও এবার সেটি রাখা হয়নি। তবে ইফতারে কয়েকজন আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে খ্যাত সাংবাদিকের অংশগ্রহণ দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সাংবাদিকরা ইফতারে দাওয়াত পেলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বিটের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ না জানানোটা ছিল দুঃখজনক ঘটনা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিজ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক টেবিলে বসে ইফতার করেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ভারতের হাইকমিশার প্রণয় কুমার ভার্মা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল উইলিয়াম মিলার ছাড়াও রাশিয়া, জাপান, কানাডা, সংযুক্ত আবর আমিরাত, নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালী, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকরাও ছিলেন এই আয়োজনে।
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইফতারে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।
ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার এবং মানবতা সমুন্নত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য কেবল তার জনগণই নির্ধারণ করবে। আমরা আশা করি যে, আমাদের বিশ্বব্যাপী বন্ধু এবং অংশীদাররা আমাদের সম্মিলিত বিকাশের জন্য ‘অ-হস্তক্ষেপ’, ‘সার্বভৌমত্ব’ এবং ‘বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ এর বিশ্বব্যাপী নিয়মগুলোকে সম্মান করবে। গণতন্ত্র এবং উদার বাণিজ্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের সম্মিলিত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই এবং আগামী দিনে আমরা আরও বেশি করে জনগণের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা এই ইফতার ভাগ করে নেওয়ার সময় আমাদের ন্যায়বিচার, স্থিতিস্থাপকতা এবং ঐক্যের মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ ভয়, নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তামুক্ত একটি ভবিষ্যতের যোগ্য। সামনের পথ স্পষ্ট - একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে দ্রুত প্রত্যাবর্তন। ইফতারের আগে বিএনপি মহাসচিব কূটনীতিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ সিনিয়র নেতারা ইফতারে অংশ নেন।
এছাড়াও অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, শফিক রেহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মনিরুজ্জামান, দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, বদিউল আলম মজুমদার, কামাল আহমেদ, বোরহান উদ্দিন খান, তোফায়েল আহমেদ, শহীদউজ জামান, জন রোজারিও, সম্পাদকদের মধ্যে মতিউর রহমান(প্রথম আলো), মাহফুজ আনাম(ডেইলি স্টার), তৌফিক ইমরোজ খালিদী(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), এএমএম বাহাউদ্দিন(দৈনিক ইনকিলাব), আবদুল হাই শিকদার(দৈনিক যুগান্তর), কামাল উদ্দিন সবুজ(রূপান্তর), হাসান হাফিজ (কালের কন্ঠ), রেজাউল করিম লোটাস(ডেইলি সান) প্রমুখ ছিলেন। ইফতার এবং মাগরিবের নামায শেষে কূটনীতিকরা নৈশভোজেও অংশ নেন।