বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত জুলাই সনদে জনগণের আশা-আশা আকাক্সক্ষা স্থান পায়নি। এমনকি ঘোষিত সনদে জুলাই চেতনার পুরোপুরি প্রতিফলনও ঘটেনি। তাই এ সনদকে গণমুখী করে সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় জনগণ তা কোন ভাবেই গ্রহণ করবে না।

তিনি শুক্রবার ( ৮ আগস্ট) সকাল ৯ টায় রাজধানীর কাফরুলের রজনীগন্ধ্যা কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত কেন্দ্র পরিচালকদের নিয়ে ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর উপধাক্ষ্য আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ আবু নাহিদের সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাফরুল জোন সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লা ।

উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবুল বাশার ও বোরহান আলী, ছাত্রনেতা নাইমুর রহমান, শ্রমিকনেতা নজরুল ইসলাম ও যুবনেতা জাকির হোসেনসহ প্রমূখ।

আব্দুর রহমান মূসা বলেন, দেশে সুশাসন, গণমানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াত ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে। এসব দফা বাস্তবায়িত হলে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত করে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। তাই ৭ দফা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য করার জন্য পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। কারণ, এ পদ্ধতির মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহার, সহিংসতা ও অপরাধও প্রায় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সহ জামায়াতের ৭ দফা বাস্তবায়নে জনমত সৃষ্টিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, গতানুগতির পদ্ধতির নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচন সহ শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনই নির্বাচন ছিলো। এসব নির্বাচনে ব্যাপক ভিত্তিক রিগিং, গণহারে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, ব্যালট ছিনতাই, দিনের ভোট রাতে করা সহ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূলত, এসব ছিলো ভূয়া ও নির্বাচনের নামে প্রহসন। তাই দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অতীতের অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদেরকে বেড়িয়ে আসতে হবে।