বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি ডিসেম্বরে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি, ওনার বক্তব্যকে প্লাস-মাইনাস করে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি এরপর জাতীয় নির্বাচন। সকল জরুরি সংস্কার শেষেই দ্রুত নির্বাচন দিন।

আমরা স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছি এই জন্যই আজকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে মানুষ চাকরির কাগজপত্রের জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জন্মসনদ, মৃত্যু সনদ, চারিত্রিক সনদপত্র পাচ্ছে না। এই নির্বাচনটি ননপলিটিক্যাল নির্বাচন হতে হবে, কোন দলের নির্বাচন নয়। এরপর সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বসে আলোচনা করা উচিত, তারপর আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) একটি রিসোর্টে কুমিল্লায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স সাংবাদিকদের নিয়ে একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ডা. তাহের আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি হওয়া উচিত ছিল একটি জবাবদিহি মূলক ঐক্যের রাজনীতি। এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্যের। দলীয় স্বার্থ নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা নয়। আমি জাতি সংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কয়েকটি বিষয়ে ইউনিটি অত্যন্ত জরুরি। এক. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখানে কোন ভিন্নতা আসতে পারে না। দুই. টেকসই গণতন্ত্র, এখানে দ্বিমত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদি আমরা দ্বিমত করি তাহলে সকল শহীদের সাথে বেঈমানী করা হবে। কারণ এই লড়াইটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল। তিন. স্বচ্ছ নির্বাচন এবং চার. দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ।

মহানগর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন, শাহাদাত হোসাইন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী, মহানগর শিবির সেক্রেটারি নাজমুল হাসানসহ জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।