বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জুলাইয়ের অরুণ-তরুণ ছাত্রজনতার ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। দীর্ঘ ষোলো বছর পর মানুষ মুক্ত বাতাসে জীবনযাপন করার সুযোগ পেয়েছে। জুলাইয়ে মুক্তিকামী ছাত্রজনতাকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা নির্বিচারে গুলী করেছে। কিন্তু ছাত্র, শ্রমিক ও আপামর জনসাধারণ গুলীর মুখেও দমে যায়নি। তাদের স্বপ্ন ছিল একটি বৈষম্যমুক্ত, জুলুমমুক্ত দেশ গঠন করা। জুলাইয়ের শহীদদের সেই স্বপ্নকে ধারণ করে ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। আমরা জুলাইয়ের শহীদদের কখনও ভুলে যাব না। জামায়াতে ইসলামী সবসময় জুলাইয়ের শহীদদের পরিবারের পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি জুলাইয়ের শহীদদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাতের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সকালে

শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এই উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ নজরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, জনসংযোগ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও ছাত্রশিবিরের দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি আসহাব উদ্দিন।

লোহাগাড়া উপজেলা আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল কালামের সঞ্চালনায় শহীদ ইশমামুল হকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর লোহাগাড়া উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আ ন ম নোমান, ছাত্রশিবিরের সাবেক দক্ষিণ জেলা সভাপতি আইয়ুব আলী, সাবেক সেক্রেটারি আবু সুফিয়ান, জামায়াতের আমিরাবাদ ইউনিয়ন আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ হাসান, বটতলি শহর আমীর অধ্যাপক জালাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম, দাওয়াহ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা ছৈয়দ আহমদ, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, আমিরাবাদ ইউনিয়ন সেক্রেটারি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিকনেতা রফিক দিদার প্রমুখ।

স্মরণসভার আগে নেতৃবৃন্দ শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত করেন। শহীদের মা, ভাই ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।