নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃশ্যই জুলাই যোদ্ধাদের প্রশান্তি এনে দিবে - মিয়া গোলাম পরওয়ার

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বাষির্কী উপলক্ষ্যে সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে গণমিছিল প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। অপরদিকে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে গণমিছিল মহাখালী রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে হলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ঘোষণা করলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। মহানগরী দক্ষিণের কর্মসূচীতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর জাতি এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামী ৫ আগস্ট পরবর্তী রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহনমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন শাখার পক্ষ থেকে পৃথকভাবে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।

পুরানা পল্টন মোড়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা আয়োজিত গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতির আশা-আকাক্সক্ষা উপেক্ষা করে একটি দলের প্রত্যাশিত জুলাই সনদ উপস্থাপন করা হলে জাতি সেই সনদ প্রত্যাখ্যান করবে। ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর জাতি এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামী ৫ আগস্ট পরবর্তী রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহনমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছে। এই দাবির প্রতি দেশের জনগণ সমর্থন দেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ ১১টি কমিশন গঠন করে। সকল সংস্কার কমিশনকে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা করলেও একটি দল নিজেদেরকে রাষ্ট্রের মালিক মনে করে সরকারকে যথাযথ সহযোগিতা করেনি, করছে না। তারা সংস্কার চায় নিজেরদের মতো করে। দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং ৫০ হাজারের অধিক আহত জুলাই যোদ্ধাদের গণ-অভ্যুত্থানের আইনি স্বীকৃতির মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবরূপ দিয়ে ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে জামায়াতে ইসলামীসহ দেশপ্রেমিক সচেতন সকল নাগরিক দাবি জানিয়েছে। জাতির প্রত্যাশিত ঘোষণাপত্র উপস্থাপিত না হলে, জনগণ সরকারের ঘোষিত ঘোষণাপত্র মেনে নিবে না।

এসময় তিনি বলেন, একটি দল ক্ষমতায় গিয়ে সব সংস্কার মুছে দেওয়ার ঘোষণায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় আবির্ভূত হতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ আর কোন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের আকাশে বিজয়ের আভাস নিয়ে নতুন সূর্য উদিত হয়েছিল।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃশ্যই জুলাই যোদ্ধাদের প্রশান্তি এনে দিবে উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সেই মহান নেতা ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। বৈষম্যহীন, ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের এক কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতির কোন স্থান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা আবারো রাজপথে নেমে আসবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জনগণ রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

জুন কিংবা ফেব্রুয়ারি যখনই নির্বাচন হোক, এর আগে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছিলেন, জুনের পর তিনি একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। পরবর্তীতে তিনি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার পরবর্তীতে তিনি একটি দলের সাথে বিদেশের মাটিতে আলাদা বৈঠক করে আবার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচন যখনই হোক আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে যেভাবে হ্যাঁ/না (গণভোট) ভোট দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছেন। হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদও একইভাবে নিজের ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছেন। সেভাবে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতায় কারোই আপত্তি থাকার কথা নয়। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি মেশিনের নাম, পিআর একটি পদ্ধতিগত দিক। যিনি বলেন, মানুষ ইভিএম বুঝে না আসলে তিনি না বুঝলেও বাংলাদেশের ঠেলাওয়ালা, ভ্যান চালক, রিকশা চালক, চা-পান বিক্রেতাও পিআর পদ্ধতি বুঝে। তিনিও পিআর পদ্ধতি ঠিকই বুঝেন কিন্তু বুঝাতে চান না। জাতির জন্য রাজনীতি করলে পিআর মেনে নিতে তিনি সব দলের প্রতি আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, জুলাই এক চেতনার নাম। এই জুলাই মানুষকে শোষন থেকে মুক্তি দিতে, বৈষম্যহীন একটি ইনসাফ ভিত্তিক ন্যায় বিচার ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের নাম। জুলাইয়ের চেতনা সারা বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। নতুন বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। যারা নতুন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় নিজেদের অধিষ্ঠিত করতে চায় ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে এদেশের ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিহত করবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আহবান জানান।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা -১০ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঠাকুরগাঁও -১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা -৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা -৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শামছুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ঢাকা -৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কবির আহমেদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা -৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। এছাড়াও সমাবেশে মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, এডভোকেট এস.এম কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুর নবী মানিক, আব্দুস সালাম, ডা. আতিয়ার রহমান, ড. মোবারক হোসেন, কামরুল আহসান হাসান সহ শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ছাত্র-জনতার চেতনা ছিল বৈষম্যহীন আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের চেতনা। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি দল পুরোনো নিয়মেই দেশ গড়ার মনোভাব পোষণের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা জুলাই চেতনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের সাথে বেঈমানীর পথে হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিয়ে বাস্তবরূপ দিতে হবে। নতুবা জুলাই ঘোষণাপত্র নামক এক টুকরো কাগজ জনগণ গ্রহণ করবে না, মেনে নিবে না। নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বিচার ও সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন নয়, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা যেনতেন নির্বাচন দিয়ে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করলে জনগণ সেটি প্রতিহত করবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা আবারো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় মদদ দিচ্ছে অভিযোগ করে বলেন, নিরপেক্ষতা হারালে পরিণতি আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তাই তিনি সরকারের ভিতরে ও বাইরে থেকে কোনো ষড়যন্ত্র না করে জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে, এক বিশাল গণমিছিল পল্টন মোড় থেকে প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।

উত্তর সিটির গণমিছিল

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের গণমিছিল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, দেশের কিছু মানুষ ও চিহ্নিত রাজনৈতিক দল ছাড়া সকলেই জুলাই মুক্তিযোদ্ধা; তাই এ বিষয়ে কোন বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ নেই।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার এবং ঢাকা মহনগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন প্রমূখ।

ডা. তাহের বলেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী-বাকশালীরা দেশে অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তারা আবার দৃশ্যপটে ফিরে আসার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বীর জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দেবেনা। যারা নতুন করে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকেও জনগণ কোন ভাবেই মেনে নেবে না। তিনি দেশ ও জাতিকে নিয়ে জামায়াতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত সত্য, ন্যায় ও ইসনাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে জামায়াত কারো সাথে আপোষ করবে না বরং দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তা রক্ষার জন্য সবকিছু করবে। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, গতানুগতির পদ্ধতির নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রায় সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচন সহ শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনই নির্বাচন ছিলো না। এসব নির্বাচনে ব্যাপক ভিত্তিক রিগিং, গণহারে সিল মারা, কেন্দ্র দখল, ডামি নির্বাচন, ব্যালট ছিনতাই, দিনের ভোট রাতে করা সহ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত এসব ছিলো ভূয়া ও নির্বাচনের নামে প্রহসন। তাই দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি তথা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে। এ পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অপরাধ থাকবে না, ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখল হবে না। থাকবে না টাকার খেলা। মূলত, যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই তারাই এ পদ্ধতির বিরোধীতা করছেন। তারা মাস্তানী ও অর্থের বিনিময়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান। কিন্তু জনগণ তাদেরকে সে সুযোগ দেবে না। পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্যকোন পদ্ধতি তারা মেনে নেবে না।

ডা. তাহের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জনগণের রক্তের ওপর দিয়েই জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই আপনি এখন ক্ষমতায়। আপনি বা আপনার পরিবারের কোন সদস্য আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তাই নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ঘোষণা করলে তা জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে। আর দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে তারা আপনাকে ছাড়বে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে’।

তিনি অতীতের অপশাসন- দুঃশাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিএনপি- আওয়ামী লীগের শাসনামল দেখেছি। কিন্তু মানুষের মুক্তি মেলেনি। জনগণ তাদের অধিকারের নিশ্চয়তা পায়নি। আপনারা যদি আমাদেরকে এক বার সুযোগ দেন এবং আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে আমরা ৫৪ বছরের ইতিহাসই বদলে দেবো। দুর্নীতিবাজদের হয় দুর্নীতি ছাড়বে হবে, নয়তো জেলে যেতে হবে। আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা শুল্কমুক্ত গাড়ী কিনবেন না বা সরকারি প্লট গ্রহণ করবেন না’।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফ ও ইসলামের বাংলাদেশ। যেখানে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। তিনি গণহত্যাকারীদের বিচার এবং পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সনদে জনপ্রত্যাশার বাইরে কিছু থাকলে তা দেশপ্রেমী জনতা কোন ভাবেই মেনে নেবে না। শুধু ঘোষণা নয় বরং তা নির্বাচনের আগেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতেই। নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। চাই প্রয়োজনীয় সংস্কারও। অন্যথায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

গণমিছিল মহাখালী রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় এসে মহানগরী আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

রাজশাহী ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর উদ্যেগে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জাতীয় মুক্তির ১ম বার্ষিকী উপলক্ষে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাজশাহী নগরীর আলুপট্রি মোড় হতে গণমিছিল শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর গণকপাড়া মোড়ে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ১ম বার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যয় হোক যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের স্বপ্ন বৃথা হতে দেবো না। আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবো। জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এই ধরনের নেতৃত্ব সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই নৈতিকতা সম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরির কাজ করছে। রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, নায়েবে আমীর ও জামায়াতে ইসলামী মনোনীত রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর. সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুব আহসান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, শিল্প ও বাণিজ্য সেক্রেটারি অধ্যপক সারওয়ার জাহান প্রিন্স, অফিস সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান সুইট, যুব বিভাগের সেক্রেটারি সালাউদ্দিন আহমেদ। সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর শহীদ পরিবারের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

খুলনা ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণমিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ’র পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মিজানুর রহমান, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাস্টার নূর কামাল হোসেন, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর মাস্টার সাইফুল্লাহ হায়দার, বাঙালি ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মাওলানা হাফেজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন আমীর আবু সাঈদ, বাঙালি ইউনিয়ন আমীর সাজ্জাদুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান প্রমুখ। ম্ওালানা আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে গণমিছিলটি কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস মোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা বাস টার্মিনাল, ইজিবাইক স্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কয়রা জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, একটি শ্রেণি দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এর দায় আমরা নির্দিষ্ট কোন দলকে দিতে চাইনা। আগামী নির্বাচনে এই চাঁদাবাজদের জনগণ প্রত্যাখান করবে। মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও অধ্যক্ষ গ্ওাসুল আযম হাদী, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, আ স ম মামুন শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, মীম মিরাজ হোসাইন, মোকাররম বিল্লাহ আনসারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি রাকিব হাসান, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মনোয়ার আনসারী, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, লবণচরা থানা আমীর মোজাফফর হোসেন, ব্যবসায়ী থানা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি আজিজুর রহমান স্বপন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সাধারণ সম্পাদক ডা. সাঈদুজ্জামান, আব্দুস সালাম, জাহিদুর রহমান নাঈম, আব্দুল আউয়াল, মো, মহিউদ্দীন, শেখ তুহিন, এডভোকেট ব ম মনিরুল ইসলাম, শাহ মাহমুদুল হাসান জিকু প্রমুখ। পরে এক বিশাল গণমিছিল সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে ফেরীঘাট মোড় ও পাওয়ার হাউজ মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বরিশাল অফিস : সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বরিশাল মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আমীর বলেন, শেখ হাসিনা বলছিল শেখের বেটি পালায় না কিন্তু আমরা দেখলাম ৫ই আগষ্ট গণবিপ্লবে গুষ্টি শুদ্ধো পালিয়ে গেছে। বিপ্লব পরবর্তী এক বছরেও আমরা খুনিদের বিচার করতে পারিনি, অনতিবিলম্বে খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

কুমিল্লা অফিস : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা নগরীতে গণ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে সমাবেশ করে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এতে সভাপতিত্ব করেন। মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর মুহাম্মদ আবদুস সাত্তার, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিলর মোশাররফ হোসাইন, এডভোকেট নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কাজী নজির আহম্মেদ, অফিস সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসেন সহ অনেকে। সমাবেশ শেষে বিশাল গণমিছিল কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়, লিবার্টিমোড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, মোগলটুলি হয়ে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণমিছিল বের করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা পার্ক থেকে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের নিমতলা, বাতেন খাঁ মোড় হয়ে শান্তি মোড়ে গিয়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পথসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুজার গিফারী, সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান, পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।

মোংলা সংবাদদাতা : ৩৬ জুলাই ২০২৫, ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোংলা পৌর ও উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে মোংলার মামার ঘাট এলাকার এক নম্বর জেটিতে একটি বর্ণাঢ্য বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার নায়েবে আমীর এবং রামপাল-মোংলার জনমানুষের শ্রদ্ধেয় নেতা অ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ।

পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোংলা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক কোহিনূর সরদার, মোংলা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ও সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, এবং পৌর শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবিদ হাসান প্রমুখ।

সাভার সংবাদদাতা: গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সাভার মডেল মসজিদের সামনে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণমিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জামায়াত মনোনীত ঢাকা-১৯ আসনের এমপি প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আফজাল হোসাইন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রউফ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব, আইনবিষয়ক সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদ হোসেন, মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা, ইমদাদুল হক, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান জীম, সাভার থানা আমীর আব্দুল কাদের, সাভার পৌর আমীর আজিজুর রহমান, আশুলিয়া থানা আমীর বশির আহমেদ, ধামরাই থানা আমীর মাওলানা আব্দুল হালিম, ধামরাই পৌর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম প্রমুখ ।

সিলেট ব্যুরো : জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো চাঁদাবাজী লুটপাট খুন-খারাবি ধর্ষণ বন্ধ হয় নাই। জুলাই-আগস্টের শহীদের পরিবার এবং আহতরা এখনো পুনর্বাসিত হয়নি। সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত মানবিক দেশ গঠনে জামায়াত কাজ করছে। আমাদের মুহতারাম আমীরে জামায়াত ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নগরীতে ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে এবং মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। রেজিস্টারি মাঠের সমাবেশ শেষে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে মহানগর ও বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড-ইউনিটের হাজার হাজার জনশক্তি অংশ নেন।

মহানগর সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি শাহীন আহমেদ, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, জেলা জামায়াত নেতা সাবেক ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ প্রমুখ।

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: কলারোয়ায় গণঅভ্যুত্থানের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতের সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয় ।

কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুজ্জামানের পরিচালনায় গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও তালা-কলারোয়া ( সাতক্ষীরা -১) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। ৫ ই আগষ্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে উপজেলা চত্বর হতে গণমিছিলটি বের হয়ে পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয।

মিছিল পূর্ব উপজেলা চত্বরে কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও তালা-কলারোয়া ( সাতক্ষীরা -১) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া শহর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া আব্দুল ওয়াহিদ অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া পৌর জামায়তের আমীর এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম।

বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া শহর শাখার নায়েবে আমীর আজমল হক, সেক্রেটারি শামীম হোসেন, প্রভাষক শাহজাহান আলী, আব্দুল আলীমসহ শহর শাখার নেতৃবৃন্দ।

রংপুর অফিস : ৩৬জুলাই গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রংপুর মহানগর জামায়াতের উদ্দোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর টাউন হল চত্বর থেকে বের হয়ে সিটি বাজার, সুপার মার্কেট, পায়রা চত্তর, জাহাজ কোম্পানী মোড়, প্রেসক্লাব চত্বর, গ্রান্ডহোটেল মোড় হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের রংপুর মহানগর সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক কাজল, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী ও আল আমীন হাসান, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা মাজাহারুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল হুদা।

বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: বিরামপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ৫ আগস্ট, বিকেল সাড়ে ৩ টায় এক বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমীর হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর এবং দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি প্রার্থী জননেতা আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক। উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু হানিফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি সাজিদুর রহমান সাজু, রংপুর জেলা সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, পৌরসভা আমীর মাওলানা মামুনুর রশিদ ও মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

বগুড়া সংবাদদাতা : ছত্রিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ খোকন পার্ক থেকে শুরু হয়েছি মিছিলটি শহরের জলেশ্বরীতলা, ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় হয়ে সাতমাথা অতিক্রম করে বড়গোলা হয়ে নবাববাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। গণমিছিলে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করে। গণমিছিলের পূর্বে শহীদ খোকন পার্কে শহর আমীর ও বগুড়া-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও বগুড়া-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় সহসভাপতি ও বগুড়া-৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা গোলাম রব্বানী। শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক আ.স.ম আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল হাকিম, জামায়াত নেতা এ্যাড. রিয়াজ উদ্দিন, সেলিম রেজা, আল আমিন, আব্দুল হামিদ বেগ, শহর শিবিরের সভাপতি হাবিবুল্লাহ খন্দকার, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম আকন্দ, গাবতলী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইউনুস আলী, শাজাহানপুর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, গাবতলী উপজেলা সেক্রেটারি আব্দুল ওাদুদ পুটু, শাজাহানপুর উপজেলা সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুস ছালাম তুহিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহীন মিয়া, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইকবাল হোসেন, শিক্ষা সম্পাদক হেদাইতুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া শহর শাখার সেক্রেটারি মাস্টার আনোয়ার হোসেন, শহর শিবিরের সেক্রেটারি সফিকুল ইসলাম প্রমূখ।