সরকারিভাবে ঘোষিত এডহক কমিটির সভাপতির স্কুলে প্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের মহারাজপুরে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত দুটি পক্ষ।
সম্প্রতি সদর উপজেলার ইসলামপুর (হরিপুর) কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। পরে আহতদের ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির এডহক কমিটি গঠন করে সরকার। এতে সভাপতি করা হয় জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলামকে। তবে স্থানীয় বিএনপিপন্থী একটি পক্ষ সেই কমিটি মেনে নিতে নারাজ। অভিযোগ রয়েছে, তারা জহুরুল ইসলামকে কোনো সভায় অংশগ্রহণ করতে দেয় না এবং বারবার বাধা দিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জহুরুল ইসলাম স্কুলে ঢুকতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জামায়াতের ৯ জন এবং বিএনপির ৪ জন আহত হন।
আহত জামায়াত সমর্থকরা হলেন জহুরুল ইসলাম, সলেমান বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান, মুক্তার, ফয়জুল্লাহ, শামীম, রাফসানি, তোতা মিয়া ও সফর আলী।
আহত বিএনপিপন্থীরা হলেন কানুহরপুর গ্রামের ইমদাদুল হক, মাসুম, গোলাম মোস্তফা, সাজ্জাদুর রহমান এ্যানি।
এদিকে, সাংবাদিকদের উভয় পক্ষই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। কিন্তু সাজ্জাদুর রহমান এ্যানি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়ভাবে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সেই বিরোধ থেকেই সংঘর্ষ হয়। থানায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।