বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৫-১৬ বছর ধরে জ্ঞান চর্চা, বিজ্ঞান চর্চার কোনো অবকাশ ছিল না বলেই আজকে মাস্তান তৈরি হচ্ছে, আজকে গুন্ডা তৈরি হচ্ছে। ছাত্র নামধারীদের দিয়ে কীভাবে মিছিল করা যায়, কীভাবে মিটিং করা যায়, এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অফিসে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, একটি গবেষণা বলেছ, বাংলাদেশে শিক্ষার মান এখনো উন্নত নয়, যতটুকু শিক্ষার যে পাঠ্যক্রম সেটাও আপডেট নয়। শিক্ষার যে অবকাঠামোগত দিক সেটিও আশেপাশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। যেখানে শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়ই প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার্থীকে অনেকটা দূরে পিছিয়ে আছে। এটা অত্যন্ত বাস্তব এবং এটা অত্যন্ত সত্য কথা। এদেশের সরকারি এবং বেসরকারি প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বা প্রযুক্তি নির্ভর কোনো শিক্ষা কার্যক্রম নেই। ৪০ শতাংশ কম কথা নয় এবং সেটা গ্রামীণ অঞ্চলে আরও কঠিন অবস্থা। শহরে যদি কিছুটাও থাকে কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে এই ঘাটতি আরও তীব্র। আমরা সেই দেশে বসবাস করছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের সামনে উন্নয়নের কত ফানুস দেখানো হয়েছে। মেট্রোরেল, উড়াল সেতু, ফ্লাইওভার কত গাল ভরা গল্প আমাদেরকে বলা হয়েছে। কিন্তু একটা জাতির যে মেরুদণ্ড যে উপযুক্ত শিক্ষা, সেই শিক্ষা কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটাই ফ্যাসিস্টরা যুগে যুগে করেছে।
রিজভী বলেন, খবরের কাগজে দেখলাম ছাত্রলীগের নেতা তিনি দেশের প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছেন। আজকে যদি সত্যিকারের বিজ্ঞান নির্ভর প্রযুক্তি ঢেলে সাজানো হতো তাহলে শিক্ষার নাম নিয়ে, ছাত্রের নাম নিয়ে একটি ছাত্রসংগঠন থেকে তৈরি হওয়া একটি ছেলে দেশের একজন প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যা করার একটা চক্রান্ত করার কথা ভাবতো।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)র রেসিং কার নির্মাণে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পরে অতিথিরা তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।