বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, বিগত ২ দশকে স্বৈরাচারী সরকার শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। আজকে দেশে সকল সংগঠনের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামি আদর্শের পতাকাবাহী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনকে মজবুত ভিত্তির উপরে দাঁড় করানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি গতকাল শনিবার ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অঞ্চল পরিচালক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, কবির আহমদ, মাস্টার শফিকুল আলম, মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও মনসুর রহমান প্রমুখ।
আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি কালজয়ী আদর্শ। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই আদর্শের বিকল্প নেই। সুতরাং আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নিকট ইসলামী শ্রমনীতি সুফল তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে ইসলামী শ্রমনীতির পতাকাতলে সমবেত করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষদেরকে এই আদর্শের পতাকাতলে সমবেত করা গেলে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে। তিনি বলেন, ইসলামি আদর্শ ও জীবনধারা ছাড়া মানুষের জীবনে কাক্সিক্ষত মুক্তি সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আমাদের একটাই আহ্বান, সকল স্তরে দাওয়াতি কাজের গতি বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে পারবো ততই সংগঠন মজবুতি অর্জন করবে। এখন সময় অপচয় করার নয় বরং প্রতিটি সময় পরিকল্পিতভাবে দাওয়াতি ময়দানে বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা যতবেশি দাওয়াতি তৎপরতা বৃদ্ধি করতে পারবো তত বেশি মানুষ ইসলামী শ্রমনীতির পথে এগিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি