প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন, আর বিএনপি নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো সমাধানে বিশ্বাস করে না।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী ঘোষণা নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা জাতি মনে করছে, দ্রুত নির্বাচনই রাজনৈতিক সংকট নিরসন করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র সমাধান। যারা এই প্রক্রিয়ায় হতাশ, তাদের উদ্দেশে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই পথকে সমর্থন করবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফখরুল ইসলাম জানান, লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে বিএনপি স্বাগত জানাচ্ছে। তার মতে, এই ঘোষণা রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করবে এবং গণতন্ত্রের পথ সুগম করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার এমন সব ব্যবস্থা নেবে যাতে ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয়। এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি আহ্বান জানায়।
মির্জা ফখরুল শহীদদের স্মরণ করে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিএনপি, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে এবং শহীদ পরিবারের পূর্ণ পুনর্বাসন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
শেষে তিনি বলেন, “আসুন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার আজীবনের সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের আধুনিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।”