চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ ১৮ বছর দেশের সর্বস্তরের ছাত্র শ্রমিক ও জনতা আওয়ামী দু:শাসনের শিকার হয়েছিল। খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজি জুলুমবাজির শিকার হয়েছিল। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, কথা বলার অধিকার ছিল না। দেশে আইনের শাসন ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ছিল না। মানুষের জান ও মালের কোন নিরাপত্তা ছিল না। মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা অধিকার আদায়ের জন্য ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের খুন, সন্ত্রাস রুখে দাঁড়ানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলন। জুলাই আন্দোলনের শহীদদের ত্যাগ ও কুরবানী এবং আহতদের চরম ধৈর্য ধারণ করার কারণেই ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন তথা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত মুহাম্মদ ইসমাইলকে দেখা এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বায়েজিদ থানার শেরশাহ কলোনিস্থ তার বাসায় যান।
বায়েজিদ থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, আহত ইসমাইলের বড় ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর অফিস সেক্রেটারি হামেদ হাসান ইলাহী, বায়েজিদ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসনে সিরাজী, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাফেজ মনিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা নুরুল হুদা প্রমুখ।
সভায় শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহীম।
সভায় গত ১৬ জুলাই, ১৯ জুলাই ও ৫ আগস্ট ২৪ এর বর্বরোচিত পুলিশী আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাস হামলা, জুলুম নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরে বিভীষিকাময় ইতিহাস বর্ণনা করেন পঙ্গুত্ববরণকারী মুহাম্মদ ইসমাঈল।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ খুনী, ফ্যাসিবাদী ও দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রত্যাখান করে সৎ যোগ্য ও তাকওয়াবান নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্বে সংস্কার এবং জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের ওপর হামলাকারী পুলিশ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের খুনী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের গভীর শোক
জামায়াত নেতা জালাল উদ্দিনের মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রুকন জালাল উদ্দিনের মা আনোয়ারা বেগম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গতকাল সোমবার সকালে চান্দগাঁও থানা এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ফরিদার পাড়ার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাদ জোহর পশ্চিম ফরিদার পাড়া মুকিম খন্দকার মসজিদে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা নামাজপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরী ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মরহুমা ছেলে এডভোকেট শফিক আহমদ।
এর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম মহানগরীর অফিস সেক্রেটারি হামেদ হাসান ইলাহী, চান্দগাঁও থানা সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আজাদ চৌধুরী, থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের আমীর ওমর গণি, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ মুহাম্মদ শোয়াইব প্রমুখ।
জানাজার নামাজের পরে মরহুমাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমা আনোয়ারা বেগম ছিলেন মরহুম মৌলভী শামসুল আলমের স্ত্রী এবং এডভোকেট শফিক, শাহ জালাল ও ওসমানের মাতা।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং ধৈর্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন।