ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিরোধিতা করছে, তাদের কাছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান বলেন, কারও গোছানোর সময় দরকার, কারও বন্ধু জোগাড়ের জন্য কিছু সময় দরকার। সেজন্য জনগণের ভোট দেওয়ার মৌলিক মানবাধিকার বিলম্বিত হবে, এটা তো হতে পারে না। ঐকমত্য কমিশনের যিনি দায়িত্বে আছেন, প্রফেসর আলী রীয়াজ সাহেব বলেছেন, মে মাসের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে তারা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন যেখানে বোঝা যাবে যে, কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত, কোন কোন সংস্কারের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত আছে। মে মাসের মধ্যে বুঝে ফেলতে পারলে, জুন মাসের মধ্যে এই কাজটা কি সম্ভব না?

শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব সালাম হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা করা যাবে, সেটা এখনই হবে। যেটা সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে সেটা আগামী নির্বাচিত সংসদে হবে। সবাই একমত হয়ে দস্তখত করে দিলাম আমরা এবং সেই অনুযায়ী আগামী দিনে কাজ চলবে। এই কাজটা যদি জুন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়, এমনকি যদি জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভব হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধাটা কোথায়? আমরা বলেছি, লেবার পার্টি বলেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনটা হোক। আমি বলতে চাই, যারা এটার বিরোধিতা করছেন তারা শুধু বলুন, কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে করতে হবে নির্বাচন? কারণটা কি?

তিনি আরো বলেন, ঢাকা মহানগর যখন একটা ছিল তখন অবিভক্ত শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট ছিল আব্দুল মতিন। তিনি জাগো ফ্রন্টেরও নেতা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ পরিত্যাগ করে জাসদ করলেন। আবার জাসদ পরিত্যাগ করে লেবার পার্টিতে ঢুকলেন। এরপর জিয়াউর রহমানে সঙ্গেও যোগ দিলেন। ক্ষমতার ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ ছিল না। তার আগ্রহে ছিল শ্রমজীবী মানুষ। এদের জন্য তার আবেগ ও দায়বোধ ছিল। সে জন্যই লেবার পার্টি করেছিলেন।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী মো. আবুল খায়ের, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে নাসিমা নাজনীন সরকার, মো. মিরাজ খান, সেলিম রেজা, জাহিদুল ইসলাম, ওবায়দুল হক, মুফতি আরিফ বিন শহীদ, সালমান খান বাদসা, সৈয়দ মো. মিলন ও নাজমুল ইসলাম মামুন বক্তব্য রাখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি