# ফ্যাসিস্টদের ভাষায় কথা বলা দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেলের ভূমিধস বিজয়ের পর দেশের রাজনীতিতে নানা হিসেব-নিকেশ চলছে। অনেকেই বলছেন, দেশের ইতিহাসে এবারই শিক্ষার্থীরা সৎ, মেধাবী, শিক্ষার্থী বান্ধব ছাত্র সংসদ পেয়েছে। এই নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে, ব্যক্তিপূজার বড়শি দিয়ে মন গেঁথে ফেলার দিন সম্ভবত শেষ। নির্বাচন নিয়ে তারা যত কাদা-ছোড়াছুড়ি করবে, তত বেশি সাধারণ মানুষের রোষে পড়বে। কারণ জনগণের আস্থা অর্জনের বার্তা দিয়ে গেছে এই ডাকসু নির্বাচন।

রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, দেশের ইতিহাসে যখন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে, সেটিকে স্বাগত না জানিয়ে যারা বা যে সব রাজনৈতিক নেতা বিরুপ মন্তব্য করছেন, এটি মূলত তাদের দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ। নিজেদের অন্তকোন্দল, চাঁদাবাজি, অপকর্ম, ধর্ষণ, হামলা-মামলাসহ অনৈতিক কর্মকান্ড ঢাকতেই সমালোচনাকে হাতিয়ার হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুরে তারাও বক্তব্য দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে নেকিবাচক বক্তব্য দিয়ে দেশের মানুষকে আর বোকা বাাননো যাবে না। সমালোচকদের নিজ দল ও নিজেদের পরিশুদ্ধির কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রমতে, ছাত্রশিবিরের এই জয়ের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে দেশের অন্যতম দল বিএনপি সমর্থিত ছাত্রদলের প্রার্থীদের ভোটের ফারাকটা অনেক। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে জাতীয় নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানা আলোচনা। এর কোনো প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনে ও জাতীয় রাজনীতিতে পড়তে পারে কি না, এমন আলোচনাও চলছে সর্বত্র। অনেকেই বলছেন, যেভাবে পরাজিত হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সেই বাস্তবতা সম্পর্কে সংগঠনটির এবং বিএনপির ধারণা ছিল না বলে তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে মনে হয়েছে। রাজনীতিকদেরই অনেকে মনে করছেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা যেতে চায়, তাদের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের জন্যই এই নির্বাচনে বার্তা রয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে চলছে পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ। যদিও নির্বাচন শেেেষরও কয়েক ঘন্টা পর ছাত্রদলের একাংশ ডাকসুর ফলাফল প্রত্যাখান করেছে। ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের অনেকে এমন অভিযোগও করছেন যে, ডাকসুর ভোটের ব্যাপারে ছাত্রলীগের সঙ্গেও ছাত্রশিবিরের আঁতাত হয়েছিল। যেটি কখনোই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ছাত্রশিবির। তারা বলেছে, শিক্ষার্থীরা শিবিরের কার্যক্রমকে গ্রহণ করেছে।

তবে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে নিজেদের কিছু দুর্বলতার বিষয়ও চিহ্নিত করেছে বলে জানা গেছে। প্রথমত, ডাকসু নির্বাচনের শুরু থেকে তাদের কর্মকাণ্ড চলেছে এডহক ভিত্তিতে। ছিল না সমন্বিত পরিকল্পনা। বিজয় হবে, এমন ধারণা থেকে ছাত্রদল একক প্যানেল দিয়েছিল। তবে ছাত্রশিবিরের বাইরে অন্য প্যানেলগুলো যে সংখ্যায় ভোট পেয়েছে, তা ছাত্রদলের ভোটের সঙ্গে যোগ করলে শিবিরের ভোটের চেয়ে সংখ্যায় বেশি হয়। সেখানে ছাত্রদলের ঐক্যবদ্ধ প্যানেল তৈরির কোনো চেষ্টা ছিল না। কিন্তু ছাত্রশিবির কোনো কোনো পদে তাদের সংগঠনের বাইরে প্রার্থী করে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ নামে বা ভিন্ন ব্যানারে প্যানেল দিয়েছিল।

বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, ছাত্রশিবিরের উত্থানের জন্য দায়ী ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ সরকার ও ছাত্রলীগের নিপীড়নের কারণে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ক্যাম্পাসগুলোতে কার্যক্রম চালাতে পারেনি। অন্যদিকে ছাত্রশিবির গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। ফলে বিএনপি নেতাদেরও অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের শক্ত ভিত্তি না থাকার বিষয়কে ডাকসুতে বিপর্যয়ের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকদের অনেকে আবার ছাত্রদলের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রশ্নও তুলছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, অতীতে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ক্যাম্পাসগুলোতে ক্ষমতার দাপটে ছাত্রদলের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল। আর আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের শাসনে যেমন ক্যাম্পাসগুলোতে আবাসিক হল দখল ও গণরুমে নিপীড়নের আভিযোগ রয়েছে। অতীতে বিএনপি সরকারের সময়ও হলগুলোতে গণরুম ও নিপীড়নের অভিযোগ ছিল।

রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, হলগুলোতে গণরুম ও নিপীড়ন আবার ফিরে আসবে কি না, এই প্রশ্নে ছাত্রদলের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার সংকট এখনো রয়েছে। সেই ন্যারেটিভ ছাত্রদল ভাঙতে পারেনি বা শিক্ষার্থীদের অস্থার অভাব দূর করতে পারেনি। ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যেহেতু এখনও সে ধরনের কোনো ন্যারেটিভ বা ধারণা তৈরি হয়নি, তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিবির সুবিধা পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি। মহিউদ্দিন আরও বলেন, ডাকসুতে প্যানেল দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং নির্বাচনী প্রচারণাতেও কৌশলী ছিল ছাত্র শিবির। তারা ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থীর জোটের’ ব্যানারে প্যানেল দিয়েছিল। তাদের বড় কৌশল ছিল নির্বাচনী প্রচারণায়। ছাত্রশিবির ডাকসুতে প্রচারণায় ধর্মভিত্তিক ও ডানপন্থী চিন্তার বিষয়গুলো আনেনি। অন্য দলগুলোরও নজরে এসেছে শিবিরের এই কৌশল।

জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ডানপন্থী বা ধর্মভিত্তিক বক্তব্য না টেনে ছাত্রশিবির মধ্যপন্থী জায়গা থেকে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা করেছে, সেটি তাদের জয়ের পক্ষে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

সূত্র মতে, গত এক বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। সংস্কার ও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে দলদুটির অবস্থান বিপরীতমুখী। ভোটের আনুপাতিক হার বা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় জামায়াত। দলটির নেতারা এখনও তাদের সেই অবস্থানে অটল থাকার কথাই বলছেন। আর বিএনপি রয়েছে বিদ্যমান সরাসরি ভোটের পক্ষে। বিএনপি কেন্দ্রীয় একজন নেতা বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অসন্তুষ্টি রয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন,যদিও ডাকসুতে সরাসরি ভোটে ছাত্রশিবির জিতেছে। কিন্তু এই জয়ের পর জামায়াত সংসদে পিআর পদ্ধতির দাবিকে আরও জোরালোভাবে সামনে আনতে পারে। অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনের পর সরকারও ভিন্ন কোনো কৌশল নেয় কি না এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আবার কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হয় কি না, এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে বিএনপির কারও কারও মধ্যে।

তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে বা সংসদ নির্বাচনে ডাকসুর প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করেন না। বিএনপির মিত্রদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটের নেতারাও একই সুরে কথা বলছেন। তারা বলছেন, জাতীয় রাজনীতি ও সংসদ নির্বাচনের বিশাল মঞ্চে ডাকসুর প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই পরাজয় থেকে বিএনপি শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে সামনে ফল হবে ভয়াবহ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য একটি শিক্ষা। দলটি যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে দেখছিল, সেখানে এখন পরিবর্তন আসতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপিকে কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, চাঁদাবাজি, ব্যবসা দখল ও দলীয় কোন্দল ইতোমধ্যেই বিএনপির ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলেছে। যার প্রতিফলন ডাকসু নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, রাজনীতিতে জনমত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাকসু নির্বাচনের ফল মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। ছাত্রদলের হার আর বিএনপির হারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি বেশ ভালোভাবে এগিয়ে চলছিল। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনের এই হার সেটা অনেকটাই খর্ব করেছে। এই ব্যর্থতায় অনেক কর্মী হতাশ হয়েছেন। ডাকসুতে ছাত্রদলের পরাজয়ের মাত্রা অত্যন্ত হতাশাজনক।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, আমি মনে করি, এটি বিএনপির জন্য বড় শিক্ষা। আগামী দিনে আমরা সাংগঠনিক দুর্বলতা খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যাব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা বিএনপিকে ঘিরে দেশের আনাচকানাচে যা দেখছে, তা তাদের উত্ত্যক্ত করতে যথেষ্ট। চাঁদাবাজি, দখলদারি, চুরিচামারি এগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য তারা আন্দোলন করেছে, প্রাণ দিয়েছে। এখন কেন এগুলো মেনে নেবে? কিন্তু এখনো এসব চলছে। জনগণ প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে বিএনপির দিকে আঙুল তুলছে। বিএনপির একমাত্র উত্তর, দু-চারজন লোককে কয় দিনের জন্য বহিষ্কার করে চুপ করে থাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন বিএনপি কী করবে? নির্বাচনে এমন কোনো অনিয়ম ঘটেনি, যা তাদের জন্য ফলাফল উল্টে দিতে পারত। নির্বাচন নিয়ে তারা যত কাদা-ছোড়াছুড়ি করবে, তত বেশি সাধারণ ছাত্রদের রোষে পড়বে।

সূত্র মতে, বেশ কিছুদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। একটি দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন যে প্রধান সংবাদ শিরোনাম হতে পারে, এটি অবাক করার মতো ব্যাপার। ডাকসুর ভোটার সংখ্যা একটি ওয়ার্ডের চেয়েও অনেক কম। তারপরও এটি নজর কেড়েছে। অনেক বছর পর একটি মুক্ত পরিবেশে এ বছর ডাকসু নির্বাচন হলো। কেউ কেউ ‘প্রত্যাখ্যান করলাম’ জাতীয় আওয়াজ দিচ্ছেন।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এখানে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার। ভোটারদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ। কে অতীতে কী করেছেন, তা নিয়ে জাবর কেটে তাদের জীবন চলবে না। তারা কী চান, রাজনৈতিক দলগুলোকে সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। ‘কাল্ট ওরশিপ’ বা ব্যক্তিপূজার বড়শি দিয়ে তরুণ মন গেঁথে ফেলার দিন সম্ভবত শেষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভারতপন্থী রাজনীতি বা আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদির বিরুদ্ধে অবস্থানই সাধারণ ভোটারদের বিকল্প খুঁজে নিতে বাধ্য করেছে। কেননা, এ দেশের মানুষ জাতীয়তাবাদী এবং ভারতবিরোধী রাজনীতি চায়। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগ হতে চায়, তাহলে যে শূন্যস্থান তৈরি হবে- সেটা যারা পূরণ করবে, মানুষ তাদেরই গ্রহণ করবে। গত এক বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম বিশেষ করে বিএনপির কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটা ‘দ্রোহ’ হচ্ছে ডাকসুতে এই জনরায়। ছাত্র-ছাত্রীরা এই রায় দিয়ে বুঝাতে চেয়েছে যে, তারা রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার, ফ্যাসিস্ট বিতরণ আর দেশ মুক্ত করেছে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখার জন্য। দেশটা জনগণের, রাজনৈতিক দলের নয়; সংবিধান, আইন, ঘোষণাপত্র ইত্যাদি করতে হবে জনগণের জন্য। এই ডাকসু নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রটা জনগণের। জনগণ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা বুঝে নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুলাইয়ের মতই যেন সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির চোখ খুলে দিয়েছে। ডাকসু থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। হতাশার কিছু নাই, জনগণকে সাথে রেখে, জনগণকে সঙ্গে রেখে মনোবল অটুট রাখতে হবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট জামায়াত পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের এখনো সম্পর্ক রয়েছে। ইলেকশনে বিএনপি হেরে গেছে এটা আপনারা বলতে পারেন। আমি বলতে পারি না যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াতে ইসলামীর এত ভোট কোত্থেকে আসলো! আমার তো হিসেবে মিলে না! আমি বলতে চাই, দেশে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি আমি।