বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানবতার শত্রু, দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রু। মানবতার কল্যাণ ও দেশের স্বার্থে ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ কিছুই করিনি। বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপিড়ন, মামলা-হামলা আর জুলুম-নির্যাতন করে গণতন্ত্রকে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় শাসন চালু করেছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জাহেলিয়াতের র্নিমমতাকে মারিয়ে মানবতা, মনষত্বকে পদদলিত করে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করেছিল। সেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হাত থেকে এ জাতিকে রক্ষায় ও হারানো গণতন্ত্র পূণ: প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানে তরুণ যুব সমাজই রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাই, জাতি পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। সুতরাং, একটি মানবিক সমাজ ও বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। তিনি তরুণ ও যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে তরুণ্যের প্রথম ভোট, ‘ইসলামের পক্ষে হোক-ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় হোক’-এই শ্লোগানকে ধারন করে আগামীর মানবিক, বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ ও যুব সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আল কুরআনকে বিজয় করার আন্দোলনে ভূমিকা রাখার উদাত্ত আহবান জানান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে খুলনা-৬ আসনের পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড যুববিভাগের উদ্যোগে লক্ষিখোলাস্থ লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত যুবসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

৩ নং ওয়ার্ড যুব বিভাগের সভাপতি গাজী শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সারোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান, খুলনা জেলা যুববিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নূরুজ্জামান মল্লিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা কামাল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা বুলবুল আহমেদ, মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা আব্দুস সবুর, মাওলানা মোজাফফর হোসেন, যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড যুববিভাগের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম গাজী, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।