নির্বাচন কমিশনে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দু‘পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও লক্ষ করা যায়।

রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানি পর্বের এক পর্যায়ে দুই পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানা যায়, সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানিতে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে এনসিপির মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ-র হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।

শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। আর অন্যান্য বেশ কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। খসড়ার বিপক্ষে থাকা শুনানিতে অংশ নেয়ারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন— বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। উপজেলাকে অখণ্ড রাখার দাবি জানান তারা।

এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ বলেন, দুঃখজনক ঘটনা, একটি মারামারি ঘটেছে। ভেবেছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর কেউ ইসিতে গুণ্ডাপাণ্ডা নিয়ে ঢুকবে না। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি, মান-সম্মানের সাথে যায় না। এখনও নির্বাচন আসেনি। তাতেই তারা পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষের স্বীকারোক্তি নেয়া শুরু করেছে। আমি বলতে চাই, ইসির সিদ্ধান্তই সঠিক সিদ্ধান্ত। আশা করি সেটিই থাকবে।

উল্লেখ্য, শুনানির প্রথমদিনে কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি গ্রহণ করছে ইসি। বুধবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।