আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সাতক্ষীরা মেহেরপুর, কুমিল্লা, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মনোনয়ন বঞ্চিত ও মনোনয়ন প্রাপ্তদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদদাতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ‘গরিবের ডাক্তার’ খ্যাত অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলম মনোনয়ন না পাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার নলতা এলাকা। প্রতিবাদে তার কর্মী-সমর্থকরা অর্ধদিবস হরতাল, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মনোনয়নপ্রাপ্ত কাজী আলাউদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাত ১০টার পর খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিনেরপোতা বাইপাস মোড়ে তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা-১ (সদর-দেবহাটা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সাতক্ষীরা-১ (সদর-দেবহাটা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

মঙ্গলবার (৪ নবেম্বর) সকাল থেকে কালিগঞ্জের নলতায় মনোনয় পুনর্বিবেচনা করে অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারী। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এসএম হাফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।

ডা. শহিদুল আলমকে জনমানুষের নেতা, গরিবের ডাক্তার বলে অভিহিত করে বক্তারা সতর্ক করেন, তাকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনটি বিএনপি হারাবে। তারা কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে ডা. শহিদুল আলমকে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসন (সদর-দেবহাটা) থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

জানা গেছে, আবদুর রউফের বহিষ্কার এখনও বহাল আছে। ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি আবদুর রউফকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল।

সে সময় দলীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।’ দলীয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার করেনি বিএনপি।

২৪ এপ্রিল রাতে এক বিবৃতিতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি জানায়, আব্দুর রউফ বিএনপির দলীয় নেতা বা কর্মী নন। তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামী সরকারের সময় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এ কারণে কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।’

মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা : মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাংনী উপজেলা শহর। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তবে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাস স্ট্যান্ড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। এর পরে আমজাদ হোসেনে তার কার্যালয়ে অবস্থান নিলে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতাকর্মীরা অফিসে হামালা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। নেতাকর্মীরা আমজাদ হোসেনর অফিসের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাংচুর করে।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে হাসপাতাল বাজার থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেন পক্ষের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে বাস স্ট্যান্ডে আসেন। এসময় আমজাদ হোসেন পক্ষের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসের হামলা চালায়। অফিসের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র এবং চেয়ার বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমজাদ হোসনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল চলছে।

তবে ঘটনার শুরুতে পুলিশের একটি পিকআপ এবং পরে সেনাবাহিনীর কয়েকটি টহল গাড়ী আসলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হলে পুলিশের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল।

প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মেহেরপুরের দুটি আসনে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই মেহেরপুর-২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছিল জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকরা।

বিএনপির কর্মী সমর্থকরা

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা : বরগুনা-১ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় আমতলী-তালতলী উপজেলা থেকে সাবেক সাংসদ মতিয়ার রহমান তালুকদার ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রায়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বরগুনা-১ আসন থেকে প্রার্থী পরিবর্তন করে আমতলী-তালতলী থেকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।

জানাগেছে,স্বাধীনতার পর থেকে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন আওয়ামীলীগের দুর্গ হলেও ২০০১ সালে সেই দুর্গে হানা দেয় সাবেক সাংসদ জাতীয় পার্টির নেতা মতিউর রহমান তালুকদার। ওই সময় এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে মতিয়ার রহমান তালুকদার প্রতিদ্বন্ধিতা করে মাত্র ৫ হাজার ভোটে হেরে যান। শেখ হাসিনা এ আসন ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে মতিয়ার রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময়ে আমতলী-তালতলী উপজেলার উন্নয়নে আমুল পরিবর্তন হয়। ২০০৮ সালে সেনাশাসিত সরকার বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসনকে বিলপ্ত করে দুইটি আসনে রুপান্তিত করে। বরগুনা সাবেক- ৩ আসন (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্তি হয়ে বরগুনা সদরের সঙ্গে একিভুত হয়। আমতলী-তালতলী উপজেলার ৪ লাখ মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। ২০০৯ সাল থেকে আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তিন তিন বার সাংসদ হলেও আমতলী-তালতলীর কোন উন্নয়ন ঘটেনি। সংসদ সংসদ্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের রেখে যাওয়া উন্নয়নই তিনি (শম্ভু) ওলট পালট করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছেন। গত ১৬ বছর নানাভাবে উন্নয়ন বিমুখ হয় আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষ।

বরগুনা-১ আসনের তিনটি উপজেলা সাড়ে চার কিলোমিটার প্রস্থ ও ৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পায়রা নদী বিছিন্ন করে রেখেছে। পায়রা নদীর পুর্ব পাড়ে আমতলী-তালতলী উপজেলা। পশ্চিম পাড়ে বরগুনা সদর উপজেলা। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮’শ ৭৪। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪’শ ৮ ও তালতলী উপজেলার ভোটার সংখ্যা ৯৩ হাজার ৭’শ ২৫ জন। এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ১’শ ৩৩। বরগুনা সদর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭’শ ৪১ জন। বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে পায়রা নদীর পুর্বপাড়ের আমতলী-তালতলী উপজেলার ২৬ হাজার ৩’শ ৯২ ভোটার বেশী।

আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমতলী-তালতলী উপজেলা থেকে সাবেক সংসদ সংদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম গাজী, বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রায়াত অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন এবং বরগুনা সদর থেকে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রিয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ জামান মামুন মোল্লা ও মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বিএনপির চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে সাক্ষাতকারের জন্য মনোনয়ন বোর্ডের আমন্ত্রণ পান। এতে আমতলী-তালতলীবাসী আশায় বুক বাঁধে। সোমবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মনোনয়ন দেয়। আমতলী-তালতলী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেয়ায় দুই উপজেলা মানুষ ক্ষুব্ধ হন এবং সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার ও ওমর আব্দুল্লাহ শহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।

ভোটার জিয়া উদ্দিন জুয়েল, আব্দুস সাত্তার ও আব্দুল হক মৃধা বলেন, আমতলী-তালতলীর ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ ভোটারের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষুব্দ প্রান্তিক জনগণ। গত ১৭ ছিলাম দুই উপজেলার মানুষ বঞ্চিত ছিল। আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আমতলী-তালতলীর মানুষকে বঞ্চিত করবেন না। বিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বরগুনা-১ আসনের দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে উনন্নয়ন বঞ্চিত আমতলী-তালতলী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন নেয়ার দাবী জানান তারা।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, আমতলী-তালতলীর দুই লাখ ৯২ হাজার ১৩৩ ভোটার সাথে নিয়ে তাদের দাবী পুরণে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব।

সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, জনগণকে সাথে নিয়েই আগামী নির্বাচনে লড়বো। জনগণ আমার মুল শক্তি। আমতলী-তালতলীর মাটি ও মানুষের নেতা আমি। আমারতো হারানোর কিছুই নেই। হারলে এ দুই উপজেলার জনগণকে নিয়ে হারবো।

মনোনয়ন না পেয়ে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ

মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা সংবাদদাতা : বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সামিরা আজিম দোলার সমর্থকরা। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা ৯ মনোহরগঞ্জ লাকসাম আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল অব. এম আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলাকে বিএনপির মনোনয়ন না দেয়ায় কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দোলার কয়েক হাজার সমর্থক। সড়ক অবরোধ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।