গোপালগঞ্জ ০২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্যপদ প্রার্থী এডভোকেট আজমল হোসেন সরদার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন হাটবাজার দোকানপাট মহল্লার মসজিদ মন্দিরে ব্যাপক গণসংযোগ এবং পৌর এলাকায় অফিস আদালত মাদ্রাসা কলেজ পরিদর্শন করেছেন। এই সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন পৌর আমীর মাওলানা এনামুল হক খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শমসের আলী, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আরিফ বিল্লাহ করপাড়া ইউনিয়নের আমীর নজরুল ইসলাম সেক্রেটারি হাফেজ মোহাম্মদ শিবলী ও করপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গফফার খান। এডভোকেট আজমল বলেছেন,স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা বারবার দেশকে ধ্বংস করে লুটের রাজ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লন্ডন কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগম পাড়া তৈরি করেছে। দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি,নেশা দ্রব্য আমদানি করে দেশের যুবসমাজের চরিত্র ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে। এদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে বেকার সমস্যা সহ মৌলিক সমস্যা: খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সমস্যা দূর করতে হবে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ৫৩ বছরের শাসনে ধনী- দারিদ্র্যের যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে এই বৈষম্য দূর করতে হবে। ধর্ম বর্ণ গোত্রের ঊর্ধ্বে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে একটি সুশীল সমাজ গড়তে হবে। জামায়াতে ইসলামী ৫৩ বছর সুশীল সমাজ গড়ার কাজটি করছে।জামায়াতের মধ্যে লক্ষ লক্ষ সৎ ও যোগ্য লোকের অভাব নেই। আপনারা দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে সৎ যোগ্য লোকদের নির্বাচিত করে কোরআনের আইন ও সৎ লোককে শাসন কায়েম করার সুযোগ করে দিবেন। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের কর্মী ও নেতাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরে ঘরে দিন বদলের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যুব সমাজের মাঝে স্লোগান উঠেছে নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট সৎ নেতৃত্ব ও ইনসাফের পক্ষে হোক। আমরা বেকার সমস্যা দূর করার জন্য শিক্ষিত বেকারদের ঘুষ ছাড়া চাকরির ব্যবস্থা করব। বেকার দারিদ্রের মধ্যে ‘আয় থেকে দায়’ পরিশোধ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তাছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিনা সুদে টাকা দিয়ে ব্যবসার সুযোগ, রিক্সাওয়ালাদের রিক্সা ক্রয় করে দিয়ে’ আয় থেকে দায় পরিষদের প্রকল্প ইতিমধ্যে আমরা হাতে নিয়েছি।

আসুন আমরা সকলে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে কুরআনের আইন সৎ লোকের শাসন কায়েম করি। এই লক্ষ্যে। প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।