জুলাই জাতীয় সনদে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তি ও গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর থেকে বড়বাজার পর্যন্ত সড়কজুড়ে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে হাজারো নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল হাসেম।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি সংযোজন এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”

জামায়াতের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি:

১️ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।

২️ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট প্রদান।

৩️ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সকল দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।

৪️ বর্তমান সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।

৫️ স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও মিরপুর–ভেড়ামারা আসনের প্রার্থী আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া–৩ আসনের প্রার্থী হাফেজ মুফতি মাওলানা আমীর হামজা, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম রবিন এবং শহর জামায়াতের আমীর এনামুল হক প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, “দেশের জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনের সূচনা হতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে— যেখানে প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।”

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেন এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের আহ্বান জানান।