নরসিংদী সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরুস্কৃত করবো। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন। যে ঝুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের উপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানী মুক্ত সেবা প্রদান করতে হবে। আমাদের দেশের যে সংবিধান সে সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি। একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।

তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এর বনভোজন এবং পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এর সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।

সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ড. মঈন খান আরো বলেন, বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন আমার চেয়ে বেশী কেউ জানেনা। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সু-দিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন। কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রী সভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো।

বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়া-গাঁ পর‌্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধী, যা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমেই মানুষ পেয়ে থাকে। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানী মুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।