জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই সনদ ও নির্বাচন মুখোমুখি হবে না জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হবে। যে নির্বাচন কমিশন একটা দলকে একটা মার্কা দেয়ার মতো শক্ত মেরুদণ্ড দেখাতে পারে না তারা কোন সুষ্ঠু নির্বাচনও দিতে সক্ষম হবে না। শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিতে না পারলে এই কমিশন জনগণের ওপর থেকে সম্পূর্ণ আস্থা হারাবে। আইনগত যেহেতু কোনো বাধা নেই তাই আগামী নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নিবে। অন্য কোনো অপশন নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনগত কোনো বাধা না থাকলে দেশের যেকোন দলের চাহিদা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া উচিত। কোন প্রতীক আগে থেকে তালিকায় না থাকলে তা যুক্ত করতে হবে কিন্তু মানুষের হাসির খোরাগ জোগায় এমন প্রতিক তালিকায় রাখা যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে এনসিপির চাহিদা অনুযায়ী শাপলা প্রতীকই বরাদ্দ দিতে হবে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোর শহরের আরপি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) নাটোর জেলা কমিটি আয়োজিত সমন্বযয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপি নাটোর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এস এম জার্জিস কাদির বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন এনসিপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ফয়সাল আহমেদ, নাটোর জেলা সিনিয়র সমন্বয়কারী ও নাটোর চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মান্নাফ, সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান পিয়াস, মো. তৌফিক নেওয়াজ, মাহফুজুল আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলা সভাপতি শিশির মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, তিন পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের অংশ। এটা আমাদের সার্বভ্রৌমত্বের অংশ। দেশের সার্বভ্রৌমত্বের সাথে বিন্দু পরিমাণ আপস করার কোনো সুযোগ নেই। দেশের ভিতর বসে থেকে হোক আর বাহিরের দেশে বসে থেকে হোক আমাদের পাহাড়ি এলাকা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের সরকার দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা পাবে। তিনি বলেন, ভারত পুশ ইন করার চেষ্টা করছে। শুধু টিআরপি পাওয়ার জন্য ভারতের মিডিয়া নামক কিছু প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের দেউলিয়াত্বের প্রমান দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এবং দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা রুখে দিতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এনসিপি দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি জানান।