নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধসহ আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য পিআর পদ্ধতিতের নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শহর আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিনুল্লাহ পাটোয়ারী, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সভাপতি আব্দুল আউয়াল হামদু প্রমুখ।
রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে সুষ্ঠ নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে চলেছে। তারা জুলাই সনদকে আইনিভিত্তি দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা দেশ ও জাতির এ ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল বিজয় নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। এরা আগামীতে যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চান। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। এদেশের মানুষ আর হাসিনা মার্কা নির্বাচন হতে দেবে না। কেউ নির্বাচনী কেন্দ্র জবরদখলের চেষ্টা করলে জুলাই বিপ্লবীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিহত করবে। তিনি সংশ্লিষ্টদের নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাছে করা অঙ্গীকার অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর আঙ্গুলী হেলনে নির্বাচন অনুষ্ঠান বা সরকার পরিচালনা করলে চলবে না। সবকিছু করতে হবে জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার আঁতাত করে ‘সেইফ এক্সিট’ নেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে তা প্রতিহত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র দখল, নমিনেশন কেনাবেচা ও কালো টাকা বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। সনাতনী পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতির নির্বাচন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।