বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই জাতি নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ পাবে। স্বাধীনতরা ৫৪ বছরেও মানুষ ঘরে কিংবা বাহিরে কোথাও নিরাপদ নয়। কারণ সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি। মানুষের তৈরি মদবাদে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। আর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলেই সমাজ থেকে অন্যায়, অনাচার, শোষণ, জুলুম, নির্যাতন দূর হবে। সমাজে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, দখলদার, লুটেরা, খুনি, ধর্ষক থাকবে না, থাকতে পারবে না। পাথর দিয়ে থেঁতলে থেঁতলে কেউ কাউকে হত্যা করার সাহস পাবে না। সমাজের সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভ করবে। নারীর প্রতি সহিংসতা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। একটি আলোকিত সমাজ গঠনে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
গত শনিবার রাতে জামায়াতে ইসলামী বংশাল থানার ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বংশাল থানা আমীর মো. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া'র সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি নুর আলম সিদ্দিকী'র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকবাজার - বংশাল জোনের সহকারী পরিচালক এসএম আহসান উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জসিম উদ্দিন মজুমদার, মাওলানা আলমগীর হোসেন আরিফ, ছালাহ উদ্দিন, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, শাহজাহান খান সহ ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বিগত ১৫ বছর পুরো বাংলাদেশকে হাসিনা সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। প্রতিটি মানুষ আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়েছে, অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ে জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ১১জন নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। লাখ-লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলতে চেয়েছে তাদেরই কন্ঠরোধ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। খুন-গুম, আয়না ঘরে বন্দী সহ পুরো জাতির উপর জুলুম চালিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল না হলেও ছাত্রদের নেতৃত্বে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহনে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ০৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়। জাতি এক নতুন বাংলাদেশ পায়। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে এখন একটি দলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সারাদেশে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা আওয়ামী লীগের রূপে জাতির সামনে দাঁড়িয়েছে। যারা গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভয়ে রাস্তায় নামতে পারেনি, এমনকি নিজেদের দলের নেত্রীর বাসভবনের সামনে থেকে বালুর ট্রাক সরাতে পারেনি তারা এখন হুঙ্কার দেয় ১০ মিনিটে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সরিয়ে দিতে পারবে! সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, খুন ধর্ষনের রাজনীতি পরিহার করে দেশ গড়তে তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও মানবিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।