বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্র রক্ষায় জিয়া পরিবার সব সময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদের জন্যও জিয়া পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সর্ব প্রথম শিক্ষকদের ৪০ভাগ বেতন দেয়া শুরু করে পরে ৫০ভাগ বেতন চালু করেন।

১৯৯১সালে বেগম খালেদা জিয়া আশি ভাগ এবং ২০০৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন চালু করেন। তিনিই নারী শিক্ষার উন্নয়নে মেয়েদের উপবৃত্তি চালু করেন।

দুলু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সিপাহী বিপ্লব, ৯০এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের পক্ষের সকল আন্দোলন সংগ্রামে জিয়া পরিবার গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা অবদান রেখেছে। শেখ মুজিব ৭১সালের ২৫মার্চ পাকিস্তানীদের কাছে আত্মসমর্পন করলে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বাধীণ রাষ্ট্র উপহার দেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান আবার বহু দলীয় গনতন্ত্র চালু করেন। ৯০এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়া নেতৃত্ব দেন।

শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের জেলা পরিষদ মিলনাতায়নে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন।

এছাড়াও শিক্ষক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জিয়া পরিষদ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপন, জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ- সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, বাগাতিপাড়া উপজেলার শিক্ষক নেতা মোঃ আব্দুল মতিন, গুরুদাসপুরের মোঃ ইউসুফ আলী, বড়াইগ্রামের রেজাউল করিম, লালপুরের আমিনুল ইসলাম, সিংড়া জামতৈলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী ও সদরের আব্দুল হাকিমসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষক সমাবেশে দুলু আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ঘোষিত ৩১দফায় পরিস্কার ভাবে বলেছেন, আগামী বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে এবং প্রয়োজনে শিক্ষাখাত সরকারি করণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০২৪সালের বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশের মানুষের মনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের যে আশা তৈরি হয়েছিল। একটি মহলের ষড়যন্ত্রে তা যখন হতাশায় পরিনত হয় তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে সেই অনিশ্চতা দুর করে দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।