বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল ডেমোক্রেসির জন্য। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাদেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে। চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও মহানগরের নেতারা।
সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে সারাদেশে মবোক্রেসি হচ্ছে, এমন মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে, তারা কারা এবং কেন করছে? এ কেন এর জবাব হচ্ছে, সরকারের নির্লিপ্ততা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যর্থতা।
সরকারকে সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে আমরা সবসময় এ সরকারের সফলতা কামনা করেছি। সবসময় সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আজ গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, বিভিন্নভাবে ইস্যু সৃষ্টি করে। সেই ইস্যুর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বিএনপিকে কলঙ্কিত করার একটি অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কারা এগুলো করছে? কারা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ পুনরায় সৃজন করতে চাচ্ছে? সেই প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারি। যারা ফ্যাসিবাদের আগমন চায়, বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসন চায় এবং যারা বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে বিএনপিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে তারাই এগুলো করছে।
নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা চাই, এই অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটি যেন পৃথিবীর বুকে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটির নিরপেক্ষতা যেন সারা পৃথিবীর কাছে একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হয়। এর স্বচ্ছতা নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে। সেজন্য আমরা বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ ভাবে আপনাকে সহযোগিতা করব।
সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ও প্রেস ক্লাব হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।