জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিন হবে, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এটার (গণভোট আগে) সাথে বিএনপি একমত নয়। আমরা পরিষ্কারভাবে এটা বলে দিয়েছি। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে পুরো বিএনপির অবস্থান ছিলো, গণভোট আর নির্বাচন একই দিনে হবে, দুইটা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। নতুন করে এই সাবজেক্টকে সামনে আনার কোনো সুযোগ নাই। সেটা যেই বলুক, যারাই প্রতিবেদন দেক সেটা তাদের সমস্যা। এটা বিএ্নপির সমস্যা না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এই বিষয়ে (গণভোটে আগে) বিএনপি ঐক্যমত্য পোষণ করে না সেহেতু সেদিকে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নাই।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপাসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, এই ব্যাপারে আর আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিন দুইটা ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট ও নির্বাচন হবেৃ এটাই বিএনপির অবস্থান। এই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি, আগামী দিনেরও এর পরিবর্তন হবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, কারা কি সুপারিশ করেছে জানি না। যারা সুপারিশ করেছে তারা নির্বাচন করবে না, ভোট করবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। সুপারিশ অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। আমাদেরও অনেকগুলো সুপারিশ ছিলো যেগুলো ঐক্যমত্য আসে নাই। ইট ডাজেন্ট মিন দ্যাট এটা আমাদের জাতীয় সনদে সই করতে পারবে না, সই করেছে তো, যতটুকু ঐক্যমত্য হয়েছে। একটা বিষয় বুঝতে প্রত্যেক জিনিস ঐক্যমেত্যে সমাধান হতে হবে। ঐক্যমত্যের বাইরে গিয়ে কে কী বলছে, কে কী রিকমেন্ড করছে এটা তাদের ব্যাপার। ঐক্যমত্যের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। যেহেতু এই বিষয়ে (গণভোটে আগে) ঐক্যমত্য পোষণ করে না সেহেতু সেদিকে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টা গত এক দশকের চেয়ে বেশি সময় আলোচিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও আজকে একটা ইন্টারিম গভর্নমেন্ট আছে, এটা কোনো দলীয় সরকার নয়। কিন্তু তারপরও ইন্টারিম সরকারের ভেতরে যে কিছু কিছু লোক আছে, যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তারা শুধু বিএনপির পক্ষেই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তারা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবে উনি তার দেশে ফেরার বিষয়টা তো সবসময় আলোচনার মধ্যে থাকে। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু আলোচনা হয়নি, কারণ বাংলাদেশে উনি কবে ফিরবেন সেটা তার সিদ্ধান্ত। এবং উনি সঠিক সময়ে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন এটা পরিষ্কার। দিনক্ষণ তার পক্ষ থেকে বলা হবে।