জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রামের প্রথম নগর কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার আগেই চাঁদাবাজির অভিযোগে কমিটির এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতা নিজাম উদ্দিন, যিনি সদ্য ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদে ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে। নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
এর আগে গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নিজাম উদ্দিনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী (দফতর) আরিফ মঈনুদ্দিনের সই করা এক পত্রে তাকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তবে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র থেকে দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় নিজাম উদ্দিনকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
গত ৯ আগস্ট এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ৩২ সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি অনুমোদন দেন। এর পরদিনই নিজাম উদ্দিনের চাঁদা দাবির কথোপকথনের ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে।
নিজাম উদ্দিন পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্যসচিব ছিলেন। গত ৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারকে লিখিত অভিযোগ দেন এক নারী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি টাকা না দেয়ায় নিজাম উদ্দিন তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। অভিযোগের পর তার পদ সাময়িক স্থগিত করা হলেও কয়েকদিন পর পুনর্বহাল করা হয়। তবে সাম্প্রতিক ভিডিও প্রকাশের পর আবারও তিনি শাস্তির মুখে পড়লেন।