নাটোরে জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম গ্রুপের মিছিলে দুলু গ্রুপের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছে। ছুড়ির আঘাতে ৫ ও লাঠির আঘাতে ২ জন। তবে উভয় গ্রুপের এই কর্মসূচিকে দলীয় কোন কর্মসূচি নয় বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার জনসাধারণের ব্যানারে শিল্পপতি আবুল কাশেম গ্রুপ একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সমর্থকরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে মিছিলের ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে চলে যায়।
জানা যায়, জেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি আবুল কাশেম সমর্থকরা বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি কালে প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতা কর্মীরা এসে তাদের কাছ থেকে ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা সাইবার কমিটির জেলা সেক্রেটারি গুলমেরাজ হ্যামলেট বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কাশেম সমর্থকরা বিকেলে একটি মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমতাবস্থায় দুলুর নেতা কর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে চলে যায় এবং আমাকে সহ আরো ৪জনকে ছুড়ি মেরে আহত করে।

নাটোর এন এস কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর হাবীব সংগ্রামকে বলেন, দুলুর ক্যাডার বাহিনী ছুড়ির আঘাতে আমাদের ৫জন নেতা কর্মীসহ ৭জন আহত হয়েছে। এদিকে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে দুলু সমর্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, নাটোরের জনপ্রিয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ধুলির বিরুদ্ধে নাটোরের মাটিতে কোন ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। কেউ এ ধরনের ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করলে তাকে রুখে দেওয়া হবে।
এদিকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সমর্থনে করা মিছিলে নেতৃত্বদানকারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন বলেন, বিএনপি নামধারী কিছু দুষ্কৃতিকারী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল। সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রতিরোধ করেছে মাত্র, যাতে তিনি নিজেও ছিলেন। তিনি দাবি করেন নাটোরের বিএনপিতে কোন গ্রুপিং নেই।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এটি কোন দলীয় কর্মসূচি নয় তবে ব্যক্তিগতভাবে কোন নেতাকর্মীর সমর্থকরা কর্মসূচি পালন করতে পারে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।