গণরায় যাতে কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে সে জন্য ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের জনশক্তিকে প্রতিটি কেন্দ্রে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের কেন্দ্র পরিচালকদের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বনানী থানা আমীর মিজানুর রহমান খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণের গুলশান জোনের পরিচালক সাইফুল ইসলাম,গুলশান পশ্চিম থানা আমীর মাহমুদুর রহমান আজাদ, ক্যান্টনমেন্ট থানা আমীর আব্দুস সাকি, গুলশান পূর্ব থানা আমীর জিল্লুর রহমান ও ভাষানটেক থানা আমীর ডা. আহসান হাবিব প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণ দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। কারণ স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারগুলো জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পুরনে প্রায় ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে এখন জামায়াতে ইসলামী আশাহত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় তারা আগামী দিনে ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তারা আগামীতে যেকোন নির্বাচনে ইসলামী শক্তিকে বিজয়ী দেখতে রীতিমত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত এ দেশের মানুষ আর কোনো চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ভোট চোরদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচন নতুন প্রজন্মের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তাই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে অতি সন্তর্পণে অগ্রসর হতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়ারকে সংগঠিত করার জন্য সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অর্জন। অনেক ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে আমাদের এ বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ জন্য শত-সহস্র মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকে হাত, পা ও চোখ হারিয়ে স্থায়িভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছেন। তাই প্রস্তাবিত জুলাই সনদকে কোন কার্যকারিতাহীন উপাখ্যান বানালে চলবে না বরং এ সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। রাষ্ট্রের কার্যকর সংস্কারের সাথে সাথে জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। জনগণ দেশে আর কোন ভোট চুরির প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না বরং এ ধরনের যেকোন ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে রুখে দেবে। তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।