গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখ বাঁধা গামছা বাহিনীসহ শনিবার প্রকাশ্যে মিছিল করে এবং বাজারে মাইকে চাঁদা দাবি করে বক্তব্য দেয় দেয়। মুহূর্তেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাহাঙ্গীর শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাত্র দলের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন। বর্তমানে সে শ্রীপুর যুবদলের সদস্য ছিল।

যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, যুবদলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃত নেতার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায় দল বহন করবে না।

গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা জানান, জাহাঙ্গীর অস্ত্রসহ মিছিল করে এমসি বাজার এলাকায় মাইকে চাঁদা দাবী করে বক্তব্য দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুবদল আবারও প্রমাণ করলো যে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না।