বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, যে ভোটাধিকারের জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটিয়েছে, বিএনপি এখন সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বললেই একটি শ্রেণির প্রতিক্রিয়ায় মনে হয় যেন আমরা পাপ করছি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ১৭ বছর ভোটাধিকার বঞ্চিত ছিল। এখন নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা জনগণের বন্ধু হতে পারে না। নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হলে দেশের জনগণ তাদের মালিকানা বুঝে নিতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, ড. ইউনূস সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমরা চাই ইউনূস সরকার সফল হোক, যদি না তারা নিজেরাই নিজেদের কাজে ব্যর্থ হয়।

তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জজ কোর্টের ২ নম্বর বার হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সিলেট জেলা বার ইউনিটের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আইনজীবী সমাজকে সমাজের দর্পণ হিসেবে উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন বলেন, আইনজীবীরা অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ ও স্বৈরাচার হাসিনা পতন আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দেয়া মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় লাখো মানুষকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা বিনামূল্যে সহায়তা করেছেন। আগামী দিনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সিলেটের আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন থেকে আমাদেরকে রাজনীতির পাঠ নিতে হবে। সকল নির্যাতন ও জুলুমের মধ্যেও তিনি বিএনপিকে সুসংগঠিত রেখে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তার ত্যাগ কেবলই এদেশের জনগণের জন্য। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃত্ব নির্ধারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়হান।