কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা -১ (তালা -কলারোয়া) আসনের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিএনপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে একক প্রার্থী ঘোষণা করায় দলটি নড়েচড়ে বসেছে। জামায়াতে ইসলামীর ১জন ও বিএনপির ১ জন করে প্রার্থী দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবার্হী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ ও বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

ইতোমধ্যে কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন।এখন তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় মাত্র। যার ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা-১ (তালা -কলারোয়া) আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা । আর সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ঝড় উঠেছে । দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলার তালা ও কলারোয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-১ আসন। এ আসনে দুটি উপজেলায় ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষাধিক ।বিএনপি ও জামায়াতর নেতাকর্মীরা সমাবেশ ও গণসংযোগসহ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।আত্মগোপনে থাকা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা নীরব রয়েছেন । ফলে বাঁধাহীন ভাবে জামায়াতের দাড়িপাল্লার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে কর্মী ও সমর্থকরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছেন তারা। সাথে বিএনপি ও তাদের প্রচারণায় থেমে নেই।তারা জামায়াতের কৌশল অবলম্বন করে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যেন বাকরুদ্ধ। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও তাদের নেতা কর্মীদের তেমন একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আর অন্তরালে রয়েছে ১৪ দলের অন্যান্য শরিকরাও। বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে জোরে সোরে। এর মধ্যে জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারণা ও কর্মকান্ডে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। তাই অতি দ্রুত জনসাধারণের মাঝে তারা জায়গা করে নিতে পেরেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মুখে সর্বত্র দাড়িপাল্লার পক্ষে কথা শুনা যাচ্ছে। তারা এবার নতুন মুখ দেখতে চায়।

এ দিকে বিএনপির বক্তব্য ও ভয়ভীতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে । এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে যে কারণে জামায়াতের প্রতি সাধারণের ধারণা ইতিবাচক। (তালা -কলারোয়ার) মানুষ অন্যান্য দল গুলোকে ভোট দিয়েছে এবার তারা জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই মাঠে ঘাটে চায়ের দোকানে জামায়াতের গুনগানে পঞ্চমুখ। কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান জোরে সরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,আমাদের নমিনী অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বিজয় লাভ করবে ইনশাল্লাহ।

জানা যায় ,সাতক্ষীরা-১(তালা -কলারোয়া) আসনে ২০০১সালের নিবাচনে জামায়াতের সহায়তা নিয়ে বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব জয়লাভ করেছিলেন। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অংশ না নেয়ায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। উভয় দল তাদের নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে শহর থেকে গ্রাম গঞ্জের চায়ের দোকানে জমে উঠেছে এ নির্বাচনী প্রচারণা। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে আলোচনায় রয়েছে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লার কথা। সাধারণ মানুষ বলছে, আমরা সব মার্কায় ভোট দিয়েছি এবার দাড়িপাল্লায় দেব। আর যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে দাড়িপাল্লা বিজয় লাভ করবে। সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার শওকত আলী জানান, আমরা দাড়িপাল্লার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহ চাইলে দাড়িপাল্লা জিতে যাবে ইনশাল্লাহ।