নির্বাচন কমিশনে সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানিতে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে এনসিপির মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ-র হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানি পর্বের এক পর্যায়ে দুই পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ সময় রুমিন ফারহানা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমি কোনো গুন্ডা বদমাইশের মেলা করি নাই, করতে চাইলে করতে পারতাম। গুন্ডা আনলে আনা যায় অসুবিধা হয় না ।

তিনি আরও বলেন, একজন পাঞ্জাবি লোক আমাকে ধাক্কা দিয়েছে , তারপর আমার লোকজন তো আর বসে থাকবে না , আমি তো একজন মহিলা এবং পরে যখন আমার লোকজনকে মারধোর করে তখন আমার লোকজনও তার জবাব দিয়েছে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণে ইসিতে এদিন দাবি-আপত্তির শুনানিতে অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে যিনি আছেন তিনি পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষের স্বীকারোক্তি নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করেছি। জনসংখ্যার বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার বিষয়গুলো আমি নিজে প্রেজেন্ট করব, তাই করেছি।

বিএনপি নেত্রীর ভাষায়, ‘আশা করেছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে যিনি আছেন, তিনি গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে ইসিতে ঢুকবেন না। কিন্তু তারা গুন্ডা নিয়ে ইসিতে এসেছেন। এই আসনের প্রার্থী তার গুন্ডা-পান্ডা সদলবল নিয়ে ইসিতে এসে মারামারি করেছেন- এটা খুবই লজ্জাজনক। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে’।

এনসিপির কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, উনি যেহেতু পরিচিত মুখ নয়, সুতরাং উনি জামায়াত না এনসিপি আমার জানা নেই। তবে উনার লোকজন প্রথম আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। ‍আর আমাকে ধাক্কা দিলে আমার লোকজন তো বসে থাকবে না, কারণ আমি একজন নারী। আমার লোকজনকে যখন মারধর করেছে, তখন আমার লোকজনও জবাব দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলেছি ২০০৮ সালের আগের সীমানায় আমরা ফিরতে চাই। আমিও মনে করি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল সেখানেই আমাদেরকে এখন ফিরে যাওয়া উচিত। মাঝখানে ১৫ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল যারা তাদের নিজস্ব ভোট কারচুপির জন্য নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা আমরা মানি না। সেজন্য আমরা বলেছি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল, খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ছিল সেখানে যাওয়া হোক।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। যেটা গত ১৫ বছরে হয়নি, সেটাই আজ হলো। সেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য ১৫ বছর ধরে লড়াই করলাম, তারাই আজ আমাকে ধাক্কা দেয়।ওহ, ঠিক আছে- ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই, তাই না!সিম্পল।