বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের আগে সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

শনিবার রাতে ইপিজেড থানা কার্যালয়ে জামায়াতের ভোটকেন্দ্র দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইপিজেড থানা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবুল মোকাররমের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি ডা. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসেন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম, ইপিজেড থানা বি এম সেক্রেটারি ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আমীর ওসমান গণি, আব্দুল্লাহ আল আরিফ, মাওলানা মহিউদ্দিন, সাংবাদিক মোহাম্মদ হোসেন, এডভোকেট শাহেদ আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইপিজেড থানা সভাপতি মোহাম্মদ হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবির ইপিজেড থানা সভাপতি রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।

শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে ভারপ্রাপ্ত আমীর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলীতে শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে গেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। শনিবার সকালে তিনি শহীদের বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরনামা বাজার পাড়ায় যান।

ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম শহীদ ওয়াসিমের মা জোসনা বেগম ও ওয়াসিমের ভাই আরশেদ আলীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। পরে স্থানীয় জামায়াত নেতাদের নিয়ে শহীদ ওয়াসিম আকরামের কবর জিয়ারত করেন।

ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে শহিদ ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমদ শান্ত, মুহাম্মদ ফারুকদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের ত্যাগ, কুরবানির বিনিময়ে দেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দেশ ও জাতি তাদের অবদান চিরদিন স্মরণ রাখবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১ মাসেও জুলাই আন্দোলনের খুনীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য স্বৈরাচারের দোসররা খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। দেশবাসী পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের মতো গজিয়ে উঠা নব্যসন্ত্রাসীদেরও রুখে দাঁড়াবে। তিনি অবিলম্বে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের খুনীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শহিদ ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। পেকুয়া উপজেলা আমীর মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখার আমীর ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম মহানগর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, সিসিএ সভাপতি সেলিম জামান, কোতোয়ালী থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ ন ম জোবায়ের প্রমুখ।

স্থানীয় জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা নায়েবে আমীর ডা. জে এম শাহাব উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. নুরুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুর মোহাম্মদ, বাইতুল মাল সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কর্মপরিষদ সদস্য আনসার উল্লাহ, রুহুল আমিন, ছৈয়দ নুর, মীর মোশাররফ হোছাইন, নুরুল আবছার, আবদুল মজিদ আরমান, ইউনিট সভাপতি বাহার উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা শিবির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, রাসেল, মাওলানা জমির উদ্দীন, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।