খুলনার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইকোনোমিক জোন, খান জাহান আলী বিমান বন্দর, টেক্সটাইল মিলে শিল্প পার্ক, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিতকরণ প্রকল্প খুলনা নভোথিয়েটার প্রকল্পসহ খুলনা অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি না থাকার কারণে আমরা এই অঞ্চলের মানুষ কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছি। অন্যস্থানে জনসংখ্য বাড়ছে আর আমাদের শাহরের জনসংখ্যা কমছে। এর মূল কারণ কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়া। প্রকল্পগুলো যদি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না যায়, তাহলে দিন দিন এ অঞ্চল অর্থনীতিতে আরও পিছিয়ে পড়বে। এ অঞ্চলে নতুন বিনিয়োগ হবে না। আমরা বারবার এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করলেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউ। খুলনার উন্নয়নের জন্য যে সকল দাবিসমূহ এখনও অপূরণীয় রয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। খুলনা দিবসের এই দিনে খুলনার সামগ্রিক উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। শুক্রবার ১৪৩ তম খুলনা দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি পূর্ব সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, অফিস সেক্রেটারি মীম মিরাজ হোসাইন, ছাত্রশিবিরের মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি কাজী মাহফুজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্রমিক নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক, মুরাদ সোহাগ, রবিউল ইসলাম, ঈসা দবির, আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, কাওছার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, তাইফুর রহমান, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, পরিবহন শ্রমিক নেতা আব্দুল বারেক, আসলাম সিকদার, কামাল হোসেন, মারুফুল হক, মিঠু, মাসুম, আব্দুর রশিদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৮৮২ খিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনাকে জিলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।