কামাল হোসেন আজাদ, কক্সবাজার : বাংলাদেশের রাজনীতি সবসময় উত্তাপময় থাকে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। যেখানে আসন গণনার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সেখানে কক্সবাজারের আসনগুলোতে আলাদা এক প্রকার নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের সব আসনে নতুন করে চমক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের ১,২,৩,৪ আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় তাদের কর্মীদের বিভক্ততার কারণে জামায়াতের একক প্রার্থীরা সব আসনে এগিয়ে থাকছে বলে জানা গেছে। এবার নির্বাচনি মাঠে কেবলমাত্র সাধারণ ভোটার নয়, স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে প্রকৃতপক্ষে তারা কার পক্ষে নির্বাচন করবে। এখনো তারা নৈতিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই। এতে করে ভোটারদেরও স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে সঠিক কোনো দিশা দিতে না পারায় ভোটের মাঠ গোছাতে পারছেন না তারা। এদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী হওয়ায় তাদের নেতাকর্মীরা খুব ধিরস্থিরভাবে কাজ করে ভোটারদের মন জয় করতে পারছে এবং জামায়াতের পক্ষে সাধারণ ভোটাররা ঢলে পড়ছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার ১ আসন : কক্সবাজার জেলার (চকরিয়া - পেকুয়া) দুই উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার এক আসনের সীমানা গঠিত। এই (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে পারেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ । ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে কক্সবাজার এক আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকায় তার নামও ঘোষণা করা হয়েছে। তার নিজ জন্মস্থান পেকুয়া উপজেলাতে হওয়ায় সেখানে তার প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে তার পক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। তবে সালাহ উদ্দিন আহমদের নির্বাচনি এলাকায় স্থানীয় অনেক বিএনপির নেতাকর্মী এক ধরণের প্রভাব বিস্তার করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সহজেই কেউ মুখ খোলার সাহস করছেন না। ফলে সালাহ উদ্দিন আহমদ এর প্রচুর জনপ্রিয়তা থাকলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অত্যাচারে সাধারণ ভোটাররা বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বলে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। সাধারণ ভোটাররা জামায়াতের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে জামায়াতের প্রতি ধাবিত হচ্ছে । এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে একক প্রার্থী হিসাবে ওই আসনে নির্বাচন করার লক্ষে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন এবং সাধারণ ভোটারদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন চকরিয়ার কৃতীসন্তান জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার শহর আমীর ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুক। ইতোমধ্যে তিনি চকরিয়াÑপেকুয়া আসনে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন । তার পক্ষে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে ভোটের মাঠে নানা কায়দায় প্রচুর কাজ করছেন । এতে করে জামায়াতের ভোট ব্যাংক ভারী হচ্ছে।
কক্সবাজার ২ আসন : কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দুই উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার দুই আসনের সীমানা গঠিত। কক্সবাজার ২ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসাবে নিবাচন করবেন বাংলাদেশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ওই আসনের সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ। জামায়াতের পক্ষে একক প্রার্থী হিসেবে তিনি মাঠে ময়দানে ভোটারদের সাথে সুখ দুঃখের কথা ভাগাভাগি করছেন এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরাও সেখানে প্রচুর কাজ করেছেন। মহেশখালী কুতুবদিয়া তথা কক্সবাজার ২ আসনে হামিদুর রহমান আজাদ আগে থেকেই বিপুল জনপ্রিয় একজন মানুষ । ইতিপূর্বে তিনি ওই আসনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে , ড.হামিদুর রহমান আজাদ মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার জনসাধারণের যেন প্রাণের বন্ধুর মতো । তার কাছে মানুষ দুঃখ দুর্দশার কথা নির্দীধায় শেয়ার করতে পারেন। ফলে তাকে সাধারণ মানুষ অন্তর থেকে ভালোবাসেন এবং কক্সবাজার ২ আসন যেন জামায়াতের এক প্রকার ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। ওই আসনে হামিদুর রহমান আজাদ তথা জামায়াতের দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করছেন সাধারণ ভোটাররা।
আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করার লক্ষে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছন নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ প্রকাশ আলমগীর ফরিদ ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এটি এম নুরুল বশর চৌধুরী । ওই দুইজনই স্থানীয় বিএনপির মধ্যে জনপ্রিয় । বিএনপি ঘরানায় এই দুই প্রার্থীর মধ্যে আলমগীর ফরিদ নানা সমীকরণে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে এবং নুরুল বশর তুলনামূলক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের স্থানীয় দলীয় কোন্দলের কারণে ভোটাররা তাদের প্রতি এক প্রকার অনিহা প্রকাশ করছেন বলেও জানা যায়। তবে আলমগীর ফরিদ বিএনপি হলেও ওই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের খুব ঘনিষ্ট আত্মীয় হওয়ায় তিনি এমপি হলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা পাবে বলেও আশংকা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এদিকে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগের আত্মীয় হওয়ায় সচেতন ভোটাররা তাকে সহেজেই গিলতে পারছেন না । এতে করে জামায়াতের ভোট ব্যাংক ভারী হচ্ছে
কক্সবাজার ৩ আসন : কক্সবাজার জেলার ঈদগাও, রামু ও কক্সবাজার সদর তিন উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার তিন আসনের সীমানা গঠিত। এই ( ইদগাহ, রামু ও কক্সবাজার সদর) আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করার লক্ষে তথা ধানের শীষের পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় মৎসবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল। ইতিমধ্যে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকায় তার নামও ঘোষনা করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছন বিএনপির এই প্রার্থী। তিনি সাবেক এমপি হওয়ায় ওই আসনে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তবে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য শহিদুজ্জামান। লুৎফুর রহমান কাজল ও শহিদুজ্জামান দুইজনই কক্সবাজার ৩ আসনে বিএনপি ঘরনার পরিচিত নেতা।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে কক্সবাজার ৩ আসনে দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য ও পৌর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ভিপি শহীদুল আলম বাহাদুর। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনিও অন্যান্য প্রার্থীদের ন্যায় ভোটের মাঠে ছুটে চলেছেন এবং সাথে জামায়াত ও অঙ্গ সংগঠনের নেতকাকর্মীরাও মাঠে ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন । জামায়াতের নেতাকর্মীরা কক্সবাজার ৩ আসনে তাদের বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। সাধারণ ভোটারদের ভাষ্যমতে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপিনেতা শহিদুজ্জামান যদি ভেতরে ভেতরে লুৎফুর রহমান কাজলের বিরোধীতা করে আর জামায়াতের প্রার্থী ও নেতাকর্মীরাও যদি কৌশলে ভোটের মাঠে কাজ করে থাকে ,তাহলে সেখানেও জামায়াতের প্রার্থীর কপাল খুলবে এবং দাঁড়ি পাল্লার বিজয় লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে । কারণ ওই আসনে বিএনপিনেতা শহিদুজ্জামানেরও ব্যাপক অনুসারী ও সমর্থক রয়েছে । তারা বিএনপিনেতা শহিদুজ্জামানের ইশারাতে ভোট প্রদান করবেন বলে সাধারণ ভোটাররা আশা ব্যক্ত করছেন।
কক্সবাজার ৪ আসন : উখিয়া‑টেকনাফ এই দুই উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার ৪ আসন গঠিত হয়েছে। ইতিপূর্বে এই আসনে যে দলের প্রতীক বিজয় হয়েছে সে দলই সরকার গঠন করেছে বলে নজির রয়েছে। তাই এই আসনকে স্থানীয়দের ভাষায় লক্ষী আসনও বলা হয়। এই আসনে শুধু স্থানীয় রাজনীতি নয়, সীমান্ত এলাকার জনজীবনের বাস্তবতা, রোহিঙ্গা সংকট, সীমানান্তরকারী জনসংখ্যার প্রভাব, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পারিবারিক রাজনীতিসহ সব মিলিয়ে এক জটিল ছবি গড়ে ওঠেছে ।
এদিকে উখিয়া টেকনাফ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়াতে খুন খারাবি,অপহরণসহ নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে নিমজ্জিত । এসব অপরাধমূলক কান্ড বন্ধে একজন ন্যায় পরায়ন অভিভাবক দরকার । ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই আসনের মানুষ পরিবর্তন চাইলেও সঠিক মানুষের খোঁজ পায়নি এলাকাবাসী। এবার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীকে পেয়ে সাধারণ মানুষের অন্তরে এক ধরণের আনন্দ বিরাজ করছে । তবে তা মানুষ মুখে সরাসরি প্রকাশ করতে না পারলেও ভোট যুদ্ধে প্রতিফলন ঘটাবে বলেও মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ।
এদিকে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নোতাকর্মীরা আনোয়ারীর পক্ষে গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন । এতদিন স্বৈরশাসক হাসিনার দমন -পীড়নের ফলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের আচরণ সহজেই সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারেনি। এবার যখন জাামায়াতের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে, তখনই সাধারণ ভোটাররা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আন্তরিক আচারÑআচরণ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন এবং সাধারণ ভোটাররা জামায়াতে ইসলামীর দিকে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসছেন। ফলে এবার উখিয়া টেকনাফ তথা কক্সবাজার ৪ আসনে বিপুল ভোটে দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক নিয়ে অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী-ই বিজয় লাভ করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানের ওঠে এসেছে।
এই আসনে, বিএনপির পক্ষে নিবাচন উপলক্ষে মাঠে নামছেন সাবেক এমপি শাহ জাহান চৌধুরী । বিএনপির প্রাথমিক মনোনিত এমপি প্রার্থীদের তালিকায় তাঁর নামও ঘোষণা করা হয়েছে । এদিকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনিত প্রার্থীর তালিকায় নাম না আসায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহর সমর্থকরা একেরপর এক মিছিল ও সড়কের পাশে কলাগাছ রোপন ও রাতের আঁধারে মশাল মিছিলসহ নানাভাবে প্রতিবাদ করছেন। আব্দুল্লাহর সমর্থকরা বলেছেন,আব্দুল্লাহ বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এবং তরুণদের আইডল। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তার শিশুপুত্র আলী উল্লাহ হত্যার শিকার হয়েছে। তিনি নিজেও প্রায় অর্ধশতাধিক মামলার আসামি এবং বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে । এমন ত্যাগী নেতার প্রতি দলের অবহেলার কারণে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী ও জেলা বিএনপির অর্থসম্পাদক আব্দুল্লাহর সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । ফলে এই আসনের সাধারণ ভোটাররা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
শুধু তাই নয়, উখিয়া টেকনাফের সাধারণ মানুষ বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীদের নানা অপকর্মে বিরক্ত হয়ে পড়েছে । বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা ব্যাপক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে । নানা অনিয়মে জড়িয়ে সাধারণ ভোটারদের অতিষ্ঠ করে তুললেও সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলছেন না । তবে চাঁদাবাজি ও অনিয়মে জড়িত বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশিরভাগই শাহ জাহান চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। ফলে শাহ জাহান চৌধুরীর নাম বিএনপির প্রাথমিক মনোনিত প্রার্থীদের তালিকায় ঘোষানা হওয়ায় সাধারণ ভোটাররা অনেকে ইসলামিক দলের প্রতি মনোনিবেশ করছেন বলে মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে একক প্রার্থী হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোটের মাঠে কাজ করছেন কক্সবাজার জেলা আমীর,কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর মনোনিত কক্সবাজার ৪ আসনের এমপি প্রার্থী বিরতিহীন চারবারের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রানিং চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী । তাকে শুধুমাাত্র কক্সবাজার জেলা আমীর হিসাবে নয় ,একজন ভালো আলেম, ন্যায়পরায়ণ নেতা, নম্র ও সুমিষ্টভাষী মানুষ হিসাবে দলমত নির্বিশেষে উখিয়া টেকনাফের মানুষ অন্তর থেকে তাকে খুব বেশি ভালোবাসেন ।