জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে শুধু মুসলিম নয়, সকল ধর্মের মানুষ সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে
-রফিকুল ইসলাম খান
আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, কালো টাকার প্রভাব ছাত্র-জনতা রুখে দেবে, ইনশাআল্লাহ
-ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
নব্য ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহ্বান
-জাহিদুল ইসলাম
খুলনা ব্যুরো, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, মানব রচিত আইন নয়, দুর্নীতি, চুরি, ধর্ষণ, খুন বন্ধে প্রয়োজন আল-কুরআনের শাসন। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে তিনি দেশকে একটি কল্যানমুখী রা’্রে পরিণত করতে ‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট, দাড়িপাল্লার পক্ষে হোক’ এ স্লোগান নিয়ে সামনে এগিয়ে আসার আহবান জানান। মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে খুনি, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সঙ্গে তরুণ ভোটারদের লড়াই হবে। সুতরাং যারা ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছে সেই তরুণ প্রজন্মই আগামীতেও দেশ পরিচালনায় সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ডুমুরিয়া স্বাধীনতা চত্বরে এবং বিকেলে ফুলতলা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ফুলতলা স্বাধীনতা চত্বরে পৃথক দুটি ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াত দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে বেকার সমস্যার সমাধান, শিক্ষার আমূল সংস্কার এবং কারিগরি দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গড়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গঠন করবে। ডুমুরিয়া-ফুলতলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার মূল কারণ বিল ডাকাতিয়াকে কেন্দ্র করে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ডুমুরিয়াকে ব্যবসায়িক হাবে রূপান্তর করা হবে। শিক্ষা শেষে চাকরি নিশ্চিত করা হবে, না হলে বেকার ভাতা দেওয়া হবে।
তিনি জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমীরে জামায়াত ঘোষণা দিয়েছেন, জামায়াত রা’্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোন নেতা সরকারি গাড়ি, বাড়ি, প্লট নেবেনা। সৎ সাহস থাকলে অন্য কোন দলের নেতারা এমন ঘোষণা দিক। সে সাহস অন্য দলের নেতাদের নেই। সুতরাং জামায়াতই একমাত্র মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ জামায়াত ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে শুধু মুসলিম নয়, সকল ধর্মের মানুষ ও নারী সমাজ সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। এজন্য তিনি আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইসলামী মোর্চার প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড, সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করেই আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সবচেয়ে শক্তিশালী হাত মিয়া গোলাম পরোয়ারকে আমরা শুধু ডুমুরিয়া-ফুলতলার নয়, বরং দেশের একটি মডেল হিসেবে দেখতে চাই। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ ৫৪ বছরেও জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দুসহ অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নির্যাতন, বাড়ি দখলের কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিগত দেড় দশকে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে নানা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে। আজ তারা দেশছাড়া। এখনও যারা নানাভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা তাদের উচিত শিক্ষা দেবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের জনগণ আগামী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে কারও মাথায় উঠবে না, বরং দেশের মানুষকেই জামায়াত মাথায় তুলে রাখবে। আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, কালো টাকার প্রভাব ছাত্র-জনতা রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি ঠিকই কিন্তু এখনও লড়াই শেষ হয়নি। চূড়ান্ত লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় তিনি তরুণ প্রজন্ম দেশের নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোন ফল হয়নি। সুতরাং তাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে আগামীতে ইসলামের এবং কোরআনের দেশ গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, এমপি থাকা অবস্থায় মিয়া গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া ফুলতলায় ৫শ’ কোটি টাকার কাজ করেছেন। বিনিময়ে তাকে কোন উপঢৌকন দিতে হয়নি। এ জন্য আগামীতে তাকে আবারো এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন বলেন, আজকের এই ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকে শপথ নিতে হবে যে, মিয়া গোলাম পরওয়ারকে বিজয়ী না করে আমরা ঘরে ফিরব না ইনশাআল্লাহ।
ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুখতার হুসাইনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রশীদের পরিচালনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন, জামায়াতের হিন্দু কমিটির ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণনন্দী, সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ।
অন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা মুহা. নোমান হোসেন নয়ন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, খুলনা জেলা যুব বিভাগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, ঢাকাস্থ খুলনা ক্লাবের সভাপতি সরদার আব্দুল ওয়াদুদ, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর গাজী মো. সাইফুল্যাহ, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুববিভাগের সেক্রেটারি হাফেজ রবিউল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডুমুরিয়া সদর থানা সভাপতি সরদার আবু তাহের, ডুমুরিয়া উত্তর থানা সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, পশ্চিম থানা সভাপতি সামিদুল হাসান লিমন, মাগুরখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সোবহান, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মুহা. আব্দুর রশিদ আল আযাদ, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন আমীর খান আব্দুল গণি, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা কামরুল ইসলাম, সাহস ইউনিয়ন আমীর আব্দুল হান্নান সরদার, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম মোড়ল, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি শেখ মোসলেম উদ্দিন, মাগুরঘোনা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল হালিম, আটলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মতিউর রহমান, খর্ণিয়া ইউনিয়ন আমীর মো. আবুল হোসেন, রুদাঘরা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মোস্তফা কামাল, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আমীর মো. বেলাল হোসেন, ধামালিয়া ইউনিয়ন আমীর মো. মুস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম ফয়সাল ও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আহমদ আতাউল্লাহ সালমান এবং পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আমানুল্লাহ আমান।
এরপর বিকেলে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ফুলতলা স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্র-যুব সমাবেশ উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম মোল্যার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন খানজাহান আলী থানা আমীর ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো। ফুলতলা উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খান ও খানজাহান আলী থানা সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ পদ নন্দী, জেলা সহকারি সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. ইউসুফ ফকির, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার শেখ সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, যুব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের হোসেন ফাহাদ প্রমুখ।
ডুমুরিয়া-ফুলতলার মূল সমস্যা জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এর মূল কারণ হলো বিল ডাকাতিয়া। সেই বিল ডাকাতিয়াকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হবে। ডুমুরিয়া হবে ব্যবসায়িক হাব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রাতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তনে গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা করা হবে। শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হওয়ার সাথে সাথেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। যাদের চাকরি দেওয়া যাবে না তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় : খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে এই দেশকে রক্ষা করতে চাই। কোন অপপ্রচারে তিনি কান না দেওয়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘যারা আদর্শ দিয়ে আদর্শ মোকাবিলা করতে পারে না, তারাই ‘রাজাকার’ নামক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম এসব বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বিশ্বাস করে না।’ তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম মিলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। এখানে কোনো বিভেদ থাকবে না। সকল মত ও ধর্মের মানুষ সমান মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর একটি অভিযাত হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন। ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ মণ্ডলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মোক্তার হোসাইন, ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, খানজাহান আলী থানা আমীর ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মণ্ডল প্রমুখ। সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, দাড়িপাল্লার পক্ষে যারা কাজ করছেন-তাদের কেউ হুমকি দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকেই ছাড় দেবে না। সকলেরই স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।