বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক। এমতাবস্থায় জাতি যেনতেন নির্বাচন কিছুতেই মেনে নিবে না। সরকারকে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ন্যুনতম সংস্কার। ন্যুনতম সংস্কার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আরেকটি শর্ত হল নিরপেক্ষ প্রশাসন। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে। এই প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) কুষ্টিয়া জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোবারক হোসাইন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই যোদ্ধাদের আইনগত সুরক্ষা দিতে হবে। এই বিষয়টি পরবর্তী সংসদের জন্য কিছুতেই ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। তাছাড়া শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রত্যেক পরিবারের কমপক্ষে একজনকে যোগ্যতানুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ৯০টির অধিক দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোট মূল্যায়িত হয়। এ পদ্ধতিতে কোয়ালিটি সম্পন্ন সংসদ গঠিত হয়। ছোট-বড় সকল দল সংসদে গিয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। পিআর পদ্ধতিতে কোনো একটি দলের পক্ষে বিপুল সিট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া ও তাদের ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। তাই ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করার লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য ডক্টর আলমগীর বিশ্বাস ও অধ্যাপক খন্দকার আলী মহসিন। উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির কুষ্টিয়া ভেড়ামারা ও মিরপুর আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল গফুর, খোকসা কুমারখালী আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জনাব আফজাল হোসেন, দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জনাব মাওলানা বেলাল উদ্দিন। জেলা সেক্রেটারি জনাব সুজাউদ্দিন জোয়ারদারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন।