জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে মানুষের দ¦ারে দ¦ারে যেতে হবে। মানুষের কাজে ইসলামের সৌন্দয্য তুলে ধরতে হবে। মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে। গরীব-অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে আল্লাহ দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জামায়াত নেতাকর্মীদেরকে সেই অনুযায়ী ধৈর্য্য ধরে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের ছাত্র-জনতা একক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে লড়েছে। ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি দিতে দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি আহত ও পঙ্গু হয়েছে। তাদের লড়াইয়ের মূল ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সেই বৈষম্য পুনরায় সৃষ্টি হলে রাষ্ট্র কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে। বৈষম্যের জন্ম একক কর্তৃত্ব থেকেই। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বৈষম্যহীন ইনসাফ পূর্ণ একটি আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্র উপহার দেবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্বশীলদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।দু’দিনব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, আবদুস সাদেক ভূইয়া, রাজশাহী অঞ্চল সহকারী পরিচালক জনাব রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. মো: কেরামত আলী প্রমুখ। এসময় রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের যে কাঠামো করা হয়েছে, তাতে যে ঢুকবে, সে-ই স্বৈরাচার হবে। তাই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে এ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের কোনোই মূল্য থাকবে না। আবারও স্বৈরাচার পয়দা হবে। সংস্কার সব পারা যাবে না। কিন্তু মৌলিক সংস্কারগুলো তো করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও একটি জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে পদযাত্রা শুরু করেছে। তিনি একটি ডেট লাইন দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে, জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী খুনীদের বিচার দৃশ্যমান করে আপনি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। নির্বাচন প্রো-ভায়োলেন্স এবং ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর মতো নির্বাচন হলে এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। তাই সবার আগে নির্বাচনের সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য এবং জনগণের মধ্যে ভয়-ভীতিহীন পরিবেশ তৈরি করতে হবে নির্বাচনের জন্য।