রাজনীতি
সামরিক সদস্য ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করলো নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিস ফোরাম
৩৬ জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সাফল্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছে নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিস ফোরাম।

৩৬ জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সাফল্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছে নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিস ফোরাম।
আজ ০৭ মার্চ রাজধানীর একটি হোটেলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে ৩৬ জুলাই আন্দোলন পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ ২.০ গঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ এর বিষয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা এবং মত বিনিময় করা হয়।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে অংশগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, বিডিআর হত্যায় শহীদ পরিবার, গুম হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্বৈরাচার আমলে বঞ্চিত ও চাকুরীচ্যুত অফিসার বৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত) অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ৫০ এর অধিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন - সাবেক কুটনীতিক সাকিব আলী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর- নুরুল ইসলাম বুলবুল, মহিউদ্দিন এবি নাইম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম রনি, সম্পাদক, জবান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। দোয়া ও মুনাজাত পরিচলনা করেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ফকিহ, তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা,ঢাকা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সামরিক ও বেসামরিক সকলে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে করে কোনভাবেই ব্যর্থ না হয় তা সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। একই সাথে এই সরকারকে ব্যর্থ করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সংগঠিত সকল গুম, হত্যা ও গণহত্যা সহ সকল অপরাধের ন্যায় বিচার দাবি করেন। একই সাথে প্রস্তাবিত সকল সংস্কার সম্পন্ন শেষে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও সকলে উল্লেখিত সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পেশাদার ও যুগোপযোগী করার জন্য পৃথকভাবে একটি প্রতিরক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে মতামত ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে সকলে ৩৬ জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।