বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামী আইন চালু হলে কারো অধিকার নিয়ে আর আন্দোলন করতে হবে না। সমাজে বৈষম্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে দূর হবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া কোনো মানুষই অন্যায় প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারে না। এজন্য দরকার একদল সৎ, ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু সোনার মানুষ। আর সেই সোনার মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত বুধবার রাজশাহীর তানোর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ্ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তানোর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা আফজাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাহবুব চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক জামিল রহমান ও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, তানোর উপজেলা আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন, সেক্রেটারি ডি এম আক্কাস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম, শ্রমিক নেতা আবদুল কাদেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ জনগণের কল্যাণে নতুন প্রজন্মকে সৎ, নৈতিক ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, এই দলে কোনো দুষ্কৃতিকারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ধর্ষক অপরাধী নেই এবং তাদের এ দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও নেই। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে ভোটের মাধ্যমেই যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন সম্ভব। তাই একজন সৎ নাগরিকের উচিত যোগ্য, আমানতদার ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিকে ভোট দেয়া। তিনি আগামী নির্বাচনে তরুণ সমাজসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করার উদাত্ত আহবান জানান। সমাবেশে রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা বলেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের সেবা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গোদাগাড়ী-তানোরকে উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়তে চান। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারবে ন্যায়বিচার ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে।