কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাবেক এম.পি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ সবার দেশ, সকলের দেশ। জামায়াতে ইসলামী আপনাদের ভোটের রায় পেলে ও দেশ সেবার সুযোগ পেলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ থাকবে না। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই রাষ্ট্রের সমান সুযোগ- সুবিধা ভোগ করবে।

তিনি মঙ্গলবার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলের মহাজন পাড়ায় নির্মাণাধীন সার্বজনীন হরি মন্দির ও পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতি সুজিত দেবনাথসহ ওই গ্রামের শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, পূজা মন্ডপ ও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য অন্য কোন দল, অন্য কোন ব্যক্তির সহযোগিতার প্রয়োজন নাই। তারা আমাদের ভাই-বোন, তারা এদেশের নাগরিক। তাদের পূজা মন্ডপ ও মন্দির সম্পূর্ণ অক্ষত থাকবে। আপনারা জানেন কারা গত ৫৪ বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ি ঘরে ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা কোনদিন এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত ছিল না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী জামায়াতের নেতাকর্মীরা অমুসলিমদের জানমাল রক্ষায় নিজের জানবাজি রেখে চেষ্টা করে গিয়েছে।
তিনি এর আগে সকাল ১১টার দিকে উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মিয়ারা কাটা এলাকায় প্রায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। বেড়িবাঁধ পরিদর্শনের সময় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি রেখে বলেন, কুতুবদিয়াবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই। আমাদের ঘরসহ সহায়সম্পদ সাগর কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিপর্যয় থেকে আমার দ্বীপের ২ লক্ষ মানুষের জানমাল রক্ষায় আমরা একটি স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। আমরা আগেও এই দাবি করেছি। কোনো অস্থায়ী বেড়িবাঁধ আমরা চাই না।
বেড়িবাঁধ পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী, সেক্রেটারী মাওঃ নুরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।