বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা কবির আহমেদের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সমর্থনে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীতে ‘‘মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা” অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রাটি মুগদার মানিকনগর মডেল স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিশ্বরোড হয়ে খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে খিলগাঁও রেলগেট জোড়পুকুর মাঠে শেষ হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৯ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী পরিচালক মাওলানা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা কবির আহমেদ। শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে খিলগাঁও জোনের সহকারী পরিচালক এস এম মাহমুদ হাসান, সবুজবাগ-মুগদা জোনের সহকারী পরিচালক মনির বিন আনোয়ার, ঢাকা-৯ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, মহানগরীর সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি সোহেল রানা মিঠু, মুগদা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা মো. মতিউর রহমান, সবুজবাগ দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা আবদুল বারি, খিলগাঁও উত্তর থানা আমীর মো. নাসির উদ্দিন, খিলগাঁও দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা মো. সাজেদুর রহমান শিবলী, খিলগাঁও পূর্ব থানা আমীর মাওলানা মাহমুদুর রহমান, খিলগাঁও মধ্য থানা আমীর এডভোকটে এম.এ.জে ফারুখ, সবুজবাগ পূর্ব থানা আমীর মো. রওশন জামান, মুগদা উত্তর থানা আমীর এডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, মুগদা দক্ষিণ থানা আমীর ইয়াকুব আলী, মুগদা পূর্ব থানা আমীর মাওলানা মো. ইসহাকসহ ঢাকা-৯ সংসদীয় এলাকার জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক থানা সেক্রেটারি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী উদ্বোধনী বক্তব্যে জননেতা কবির আহমেদ বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন সৎ, দক্ষ ও নতুন নেতৃত্ব। তিনি বলেন, অতীতে সব দল দেখা শেষ এবার নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত মানবিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে দেখতে হবে। জামায়াতে ইসলামী জাতিকে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব মুক্ত করে এক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করবে। যারা ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে প্রতিবছর দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে তাদের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হতে পারে না। এরা আবার ক্ষমতায় বসতে পারলে দেশকে দেউলিয়া করে দিবে। যাদের অতীত ইতিহাস দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজ তারা আগামীতে আরও ভয়ঙ্কর ভাবে জাতির ঘাড়ে চেপে বসবে। তাই এদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, শহর-বন্দরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ৫ আগস্ট পরবর্তী এদের দলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীদের পুরো জাতি অতিষ্ঠ।
ঢাকা-৯ সংসদীয় এলাকাকে নতুন বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যত্যয় করে স্থানীয়দের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য মানবিক শহর উপহার দেওয়াই জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার। তিনি আরও বলেন, অতীতে যারা এমপি হয়ে ঢাকা-৯ আসনের জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, ব্যাংক-বীমার মালিক হয়েছে, নিজ নামে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা বাণিজ্য করেছে তাদেরকে আর ভোট দেওয়া যায় না। এরা আবারো সুযোগ পেলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলবে। জামায়াতে ইসলামীতে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের স্থান নেই। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। জামায়াতে ইসলামীকে পরীক্ষামূলক একবার নির্বাচিত করা আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার, জাতি পাবে নিরাপদ এক কল্যাণ রাষ্ট্র। জুলাইয়ের শহীদদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে সমর্থন দিতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এই বিশাল শোভাযাত্রায় হাজার-হাজার মোটরসাইকেলে উপস্থিত নেতাকর্মীর দাঁড়িপাল্লা-দাঁড়িপাল্লা স্লোগানে ঢাকা-৯ সংসদীয় এলাকার রাজপথ মুখোরিত হয়ে উঠে।