পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে নভেম্বরেই গণভোটের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম জেলা শহরের শুন্য পয়েন্ট শাপলা চত্বরে মহাসড়কের দু'পাশে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক জুড়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আমীর মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী বলেন, এ দেশের জনগণ বুঝতে পারছে—দেশের স্বাধীনতা রক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতের বিকল্প নেই। এজন্য জনগণ আজ গ্রাম-গঞ্জে আওয়াজ তুলছে, সব দেখা শেষ, এবার জামায়াতে ইসলামীর হবে বাংলাদেশ।
জেলা আমীর বলেন, পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে কোন লাভ হবেনা বলে তিনি বিরোধিতাকারীদেকে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন করতে আহবান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, ৫ দফা দাবি জামায়াতে ইসলামীর একক দাবি নয়। এই দাবি দেশের সকল ইসলামী দল ও দেশপ্রেমিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এই দাবির সঙ্গে যুক্ত জাতির ভবিষ্যৎ। ৫ দফা দাবি আদায় হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথ তৈরি হবে। ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা’ এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের মুখোমুখি করা ৫ দফা দাবি গণমানুষের মুক্তির দাবি। এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন, কুড়িগ্রাম ২ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল হামিদ মিয়া।
জেলা সহসেক্রেটারী মুহাম্মদ শাহজালাল সবুজের সঞ্চালনয় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আমীর শামসুল হুদা মিঠু জেলা শিবিরের সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।