বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৯ বছর পর খোলা ময়দানে প্রকাশ্যে আয়োজিত সম্মেলনে অসংখ্য কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে।

গতকাল শনিবার বাঞ্ছারামপুর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দুপুর ২টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন শাখা থেকে কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন। জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মো: শামীম নূর ইসলাম ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী আবুল বাশার।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়নগঞ্জ মহানগরীর আমীর মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, মো. মাহিমুর রহমান সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখা আরও উপস্থিত ছিলেন নিতাই চন্দ্র সরকার, ঢাকা মহনগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো: শফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ইযাছিন আরাফাত, বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো: নাসির আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। নব্বই বছরের বৃদ্ধ রাস্তায় আসেনি, বৃদ্ধদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম, নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেব। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, কারন ইসলামের কোন কথা নেই।

জামায়াত সূত্র জানায়, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে বাঞ্ছারামপুরে দলটি প্রকাশ্য কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে ১৭ বছর পর বাঞ্ছারামপুর জামায়াতের প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।