১৪ নভেম্বর (জুমআ বার) সকাল ১০:৩০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর প্রদত্ত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উপর আন্দোলনরত ৮ দলের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বক্তব্য রাখা হয়। সম্মেলনে ৮ দলের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী ও অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব জনাব আবদুল জলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার চৌধুরী ও অর্থ সচিব মোঃ আনোয়ারুল কবির, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এর মহাসচিব মুহাম্মাদ ইউসুফ সাদিক হাক্বানী এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র (জাগপা) ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব আবু নাসের মুহাম্মাদ নূরুন্নবী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, ৫৪ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশে বার বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে, শাসনের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু শোষণের কোন পরিবর্তন হয়নি। নেতৃত্বের ব্যর্থতাই সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। আমরা আশা করেছিলাম, বহু রক্ত ও ত্যাগের বিনিময় অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা বা জুলাই বিপ্লবের পর এ দেশে একটি স্থিতিশীল শাসক, একটি সুষ্ঠু রাজনীতি, মানবাধিকারের নিশ্চয়তা, গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় একটি সুষ্ঠু ধারা এবং জনগণের জন্য জনবান্ধব সুশাসন, গণতন্ত্রের অভিপ্রায়, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ এবং সবকিছুর আগে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন।

তিনটি মৌলিক বিষয়কে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। আপনারা জানেন, তিনটি ইস্যুর স্পষ্ট বক্তব্য নিয়েই প্রধান উপদেষ্টা জাতির কাছে ওয়াদা দিয়েছিলেন। একটি ছিলো, পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যেটি আগামী দিনের সুশাসনকে নিশ্চিত করবে। আরেকটি হলো যারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলো তাদের দৃশ্যমান বিচারের ব্যবস্থা করা, আর আরেকটি হল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশন ৩১টি দলের সমন্বয়ে মূল্যবান সময় ব্যয় করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং তাতে স্বাক্ষর করেছে। জাতি অত্যন্ত আনন্দের সাথে বুকভরা আশা নিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছেলেন। আমরা যে সংস্কারের উপর স্বাক্ষর করেছিলাম সে সংস্কারের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটি দল এই সংস্কারের প্রশ্নে তারা দ্বিমত পোষণ করেছে। শুরু থেকেই তারা সংস্কার চাননি এমন মনোভাব প্রকাশ করেছিলো।

তিনি বলেন, ১৩ নভেম্বর আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ না করে একটি দলের সাথে কম্প্রমাইজ করে জনগণের স্বার্থ বাদ দিয়ে একটি বিশেষ দলের স্বার্থে অনেক পরিবর্তন এনে প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ দিয়েছেন। ফলে জনগণ এবং দেশবাসী অত্যন্ত হতাশ হয়েছে। তবে জুলাই সনদকে আদেশের মাধ্যমে এটার সাংবিধানিক ভিত্তি দেয়ায় আমরা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই। তবে সংস্কার কমিশন যে আঙ্গিকে প্রস্তাব করেছিলেন, সেখান থেকে সনদের ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেটা সঠিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, আমাদের সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন হুবহু সেটার ভিত্তিতে আদেশ দেয়াটা বাঞ্ছনীয় ছিলো। তারপরেও যতটুকু আদেশ দিয়েছেন সেটাকে আমরা গ্রহণ করেছি এবং সে জন্য আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশন পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের লক্ষ্যে জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার জন্য হ্যাঁ-না ভোট নেয়ার সুপারিশ করেছিলেন। সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে চারটি ভাগে ভাগ করে গণভোট নেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছে- তা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক জটিলতায় ফেলে দিয়েছে। ভোটারদের পয়েন্ট বিশ্লেষণ করে তাদের মত ঠিক করাটা কঠিন হবে এবং জটিলতা তৈরী হবে।

সরকার বিএনপির নোট অব ডিসেন্টকে একোমডেট করার জন্যই চারটি ভাগে ভাগ করে হ্যা-না ভোটের ব্যবস্থা নিয়েছেন। দেশবাসী মনে করে এটা আইনের বিপরীত, ন্যায় প্রতিষ্ঠার বিপরীত।

ঐকমত্য কমিশন বলেছিলো সনদের আদেশের পরে যারাই নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসবেন তাদেরকে একশত আশি কার্যদিবসের মধ্যেই এগুলোকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর যদি না করে এটা অটোমেটিকলি গৃহীত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় সেই বাধ্যবাধকতার জায়গাটি তারা রাখেন নি। এতে বিএনপির দাবিকে পূরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখলাম সরকার খুব স্পষ্টভাবে বলেছে যে, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট এক দিনেই হবে। পুরো জাতি চেয়েছিলো গণভোট আলাদা হবে। আগে যদি গণভোট হয় তাহলে এই গণভোটেও ৮০% লোক তাদের চিন্তা-চেতনার বিপরীতে যাবে। যা নির্বাচনের আগে একটি দলের বিরুদ্ধে রেফারেন্ডাম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই বিএনপি বলছে যে, গণভোট আগে হলে তারা তা জীবনেও মানবে না। সরকার তাদের এ দাবির প্রতি নতি স্বীকার করে গণভোট এবং জাতীয় ভোট একই দিনে করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছে।

আমরা (৮ দল) মেজরিটি জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। গণভোট হচ্ছে সংস্কার ইস্যুতে আর জাতীয় ভোট হচ্ছে সরকার গঠনের ইস্যুতে। একেবারে দুটি ভিন্ন জিনিস। গণভোট যদি একই দিন হয়, তাহলে সংস্কারের যে ইস্যুটি আছে, সেদিন সেটি গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি দল তার স্ব স্ব মার্কায় ভোট পাবার জন্য জনমত তৈরির জন্য মনোযোগী হবে। সুতরাং যদি ভোট একই দিন হয় তবে হ্যাঁ-নাা ভোট গুরুত্বহীন হয়ে যাবে এবং খুব কমই লোকই হ্যাঁ-না ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। বরং প্রতিটি দল তাদের মতের পক্ষেই জনগণকে একমত করার জন্য চেষ্টা চালাবে। ফলে হ্যাঁ-না ভোট একেবারেই মিনিমাইজ ও গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। যদি সেদিন মানুষের মনোযোগের অভাবে হ্যাঁ-না ভোট কম হয়, তাহলে যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেদিন তারাই এব্যাপারে প্রশ্ন উঠাবে যে, জনগণ চায়নি বলে বিবেচিত হোক এবং তারা সংস্কার থেকে সরে যাবে। তাই এটাকে আমরা একটা ফাঁদ মনে করি এবং আনফর্চুনেটলি বুঝে হোক, না বুঝে হোক, ইচ্ছাকৃতভাবে হোক অথবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হোক, সরকার একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং সংস্কারকে প্রায় গুরুত্বহীন করে তুলেছে। এর আগেও আমরা দেখেছি যে, এ সরকার এই দলটির প্রতি নানাভাবে তাদের আনুগত্য অথবা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। সেটা শুরু হয়েছে লন্ডনে গিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, সকল দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেওয়া এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের আচরণে একটি দলের দাবির প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা, এসব কিছু মিলে জাতির কাছে প্রতীয়মান হয় এ সরকার এখন আর নিরপেক্ষ সরকার নয়। এ সরকার একটি দলের প্রতি অনুগত অথবা একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যেনতেন প্রকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা আছে বলে আমরা মনে করি। আজকে আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে তিন জন উপদেষ্ট এবং তারা ভুল তথ্য দিয়ে নানাভাবে বুঝিয়ে একটি দলের হয়ে কাজ করে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হতে না পারে, সেদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুকৌশলে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজকে আমরা এই মুহূর্তে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক- এব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্যই আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য মাঠে কাজ করছি। কিন্তু যে কারণে জনগণ বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ পিরিওডে ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এবং যে অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আজকের এ দুরবস্থা তৈরি হয়েছে ঠিক একইভাবে আরেকটি নির্বাচনের মহড়া চলছে কিনা, আরেকটি পরিকল্পিত এবং পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা এব্যাপারে জনগণ ও আমাদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারের আচরণ আমাদের এ কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে, এ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। উল্টো নির্বাচন অবাধ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের মনে শঙ্কা ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে এ সরকার মনোযোগী নয়। বরং সরকারের কয়েক জন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি দলের পক্ষে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তরের চেষ্টা হচ্ছে। আপনারা জানেন ইতোমধ্যেই কিছু কিছু পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেখানে একটি বিশেষ দলের প্রতি অনুগত লোকদেরকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এবং চেষ্টা করছে। প্রশাসনে যারা মানবিক ছিল, সৎ ছিল তাদেরকে ট্যাাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি এভাবেই নির্বাচনের আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি এক দিকে চলে যায় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো পরিস্থিতি থাকবে না। যদি আরেকটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে দেশের জন্য যে আরও বেশি বিপর্যয় এবং অন্ধকার ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।

তিনি সরকারের প্রতি তিনটি দাবি তুলে বলেন,

এক: প্রধান উপদেষ্টা একই দিন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা পরিবর্তন করে অনতিবিলম্বে আলাদাভাবে গণভোট করার তারিখ ঘোষণা করবেন, এটা আমাদের দাবি।

দুই: কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা আছে যারা সরকারকে মিসগাইড করছে, আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে তাদের নাম দিব, এরপরেও যদি তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে তাদের নাম প্রকাশ্যে আনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।

তিন: প্রশাসনে যেখানে পরিবর্তন হচ্ছে সেখানে নিরপেক্ষ বিশেষ করে সৎ ও জবাবদিহির মনোভাব আছে, এমন লোকদেরকেই নিয়োগ করতে হবে। এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

আজকে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। ঢাকার বিক্ষোভ কর্মসূচি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রিপ্লেস হল। আর ঢাকার বাইরের বিক্ষোভ কর্মসূচি যথারীতি চলছে এবং আজ বিকাল পর্যন্ত চলবে ইনশাআল্লাহ।