আসন্ন ৩ আগস্ট ছাত্র ও জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ইশতেহার পাঠ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী এক দফা দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা এ বছর ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ‘ছাত্র-জনতা জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ’ কর্মসূচি পালন করব।

জুলাই ঘোষণাপত্র সরকার যেটি দেওয়ার কথা ছিল, ৩০ কার্যদিবসের কথা বলা হয়েছিল। ৩০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেছে, কিন্তু সরকারের কোনো ধরনের উদ্যোগ আমরা দেখিনি। জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংবিধানের স্বীকৃতি এবং শহীদদের মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র আমাদের প্রয়োজন। সরকার বলেছিল, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তারা এটি দেবে। কিন্তু সরকার তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতা করেছে। এই ঘোষণাপত্র আমরা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ৩ আগস্ট জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার কর্মসূচি পালন করব। সারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা শুনে, তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা এই পদযাত্রার নাম দিয়েছি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’। শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এই পদযাত্রা শুরু হবে। এটি ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় প্রদক্ষিণ করবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পরে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বলেছিলাম ‘নতুন বাংলাদেশ ২.০’- সেই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কার্যক্রম এখনো চলমান। সেই দেশ গড়ার লক্ষ্যে এই জুলাই পদযাত্রা। ১৬ জুলাই, যেদিন আবু সাঈদ শহীদ হয়েছিলেন, সেদিন থেকেই জুলাইয়ের শহীদদের মিছিল শুরু হয়েছিল। সেই দিনটিকে আমরা বৈষম্য-বিরোধী শহীদ দিবস হিসেবে পালন করব। সারা দেশে শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মুক্তি দিবস পালন করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হয়েছে। জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।