সাভার পৌরসভার স্থানীয় একটি কলেজ মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা জেলার উদ্যোগে উপজেলা/থানা শূরা সদস্যের শিক্ষা বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন গ্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে গণভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, ঢাকা জেলা সেক্রেটারি ও জামায়াত মনোনীত ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য গ্রার্থী মাওলানা মোঃ আফজাল হোসাইনের সঞ্চালনায় এ শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ইসলামি আন্দোলনে গণভিত্তি অর্জনের উপায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিষয়। ইসলামি আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে ন্যায়, শান্তি, ইনসাফ এবং আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়ন। এজন্য একটি শক্তিশালী গণভিত্তি তৈরি করা অপরিহার্য। ইসলামের মূল বার্তা সহজ ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, সামাজিক অন্যায়, দুর্নীতি, অবিচার ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে যে, ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত ধর্ম নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ঘরে ঘরে, পাড়ায়-মহল্লায় ইসলামের দাওয়াত পৌঁছতে হবে। তরুণ সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষকে আলাদা আলাদাভাবে টার্গেট করে দাওয়াতি গ্রোগ্রাম করতে হবে। সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আচার-আচরণ ও চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে হবে। আন্দোলনের কর্মীদের চরিত্র, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহনশীলতা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা। মানুষ যেন আন্দোলনের কর্মীদের দেখে ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারে। শিক্ষা ও গবেষণার গ্রসার করতে হবে। তরুণ সমাজকে ইসলামের সঠিক দাওয়াত দেয়া ও তাদের উদ্দীপনাকে কাজে লাগাতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন প্লাটফর্ম, ভিডিও বক্তৃতা, ইসলামি সাহিত্য ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করতে হবে।

ইসলামি আন্দোলনে অস্থিতিশীলতা বা সহিংসতার কোনো স্থান নেই, ধর্যের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি দাওয়া উপস্থাপন ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সমাজে সৎ, যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে যারা সমাজের আস্থা অর্জন করতে পারে। দায়িত্বশীলদের ন্যায়পরায়ণতা ও জনসেবার মানসিকতা থাকতে হবে।

সর্বপরি ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করা, কৌশল অবলম্বন করা, জনকল্যাণমুখী কাজ করা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও ধর্যের মাধ্যমে গণভিত্তি অর্জন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, ইসলামি আন্দোলনের মূল লক্ষ্য নেতৃত্বের আমূল পরিবর্তন। সেক্ষেত্রে সবার আগে নিজেকে গঠন করা। জ্ঞানের জগতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা, দক্ষতা বৃদ্ধি করা, শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস রক্ষা করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা, বেশি বেশি নফল নামাজ, নফল সদকা, শেষ রাতে উঠাসহ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করা।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর ভয় ও জবাবদিহিতা কথা চিন্তা করে সবসময় ইকামাতে দ্বীনের কাজ করার আহ্বান জানান। নেতৃত্বের সকল ধরনের গুণাবলী অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। বেশি বেশি সামাজিক কাজ ও জনকল্যাণ কাজ করার আহ্বান জানান।